INFLATION MONSOON

বর্ষার গতি কম থাকলে ফের চড়বে দাম,
অনুমান লগ্নি সংস্থার রিপোর্টে

জাতীয়

INFLATION MONSOON

মে’তে পাইকারি বাজারে মূল্যবৃদ্ধির হার হ্রাসের ইঙ্গিত মিলেছে। তবে তাতে আত্মসন্তুষ্টির কারণ নেই। বর্ষা শুরু হয়েছে দেরিতে। ফলে শস্যের বাজারে সঙ্কট হতে পারে। সেই সঙ্গে মূল্যবৃদ্ধির হারও বাড়তে পারে। 

শেয়ার লগ্নির বিষয়ক সংস্থা ডয়েশ ব্যাঙ্কের অনুমান, চলতি অর্থবর্ষে মূল্যবৃদ্ধির হার ৫.২ শতাংশে দাঁড়াতে পারে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের অনুমান, অর্থবর্ষের শেষে মূল্যবৃদ্ধির হার দাঁড়াবে ৫.২ শতাংশ।

চলতি বছরের মে’তে আলু, অন্য সবজি এবং তেলের বীজের দাম ২০.১২ শতাংশ, ১৮.৭১ শতাংশ এবং ১৫.৬৫ শতাংশ কমেছে। সরকারি তথ্যে তা দেখা গিয়েছে। পাইকারি বাজারে এই দাম হ্রাসের পাশাপাশি খুচরো বাজারেও খাদ্য এবং পানীয়ে ৩.২৯ শতাংশ দাম হ্রাসের তথ্য মিলেছে। কিন্তু শুক্রবার কংগ্রেস বলেছে দাম কমার সুফল আমজনতার কাছে পৌঁছাছে না। দামে হার চড়া আগে থেকেই, ফলে সংখ্যার বিচারে খানিক হ্রাস মানুষকে দামের বোঝা থেকে রেহাই দিতে পারছে না।   

জার্মানির আর্থিক প্রতিষ্ঠানের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘‘বর্ষায় বৃষ্টিপাতের হার এখনও স্বাভাবিকের ৫৩ শতাংশ। খাদ্য বাজারে দাম চড়ে যাওয়ার প্রবণতা বারবার দেখা গিয়েছে। জুলাইয়ে বর্ষার গতি স্বাভাবিকের তুলনায় কম। ফলে আত্মসন্তুষ্টির জায়গা নেই।’’ রিপোর্টে সংযোজন, ‘‘জুলাই এবং আগস্টে খাদ্যদ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির হার স্তিমিত থাকলে ৫ শতাংশের নিচে থাকতে পারে মূল্যবৃদ্ধির হার।’’ 

২০০৯ এবং ২০১৪’তে বৃষ্টিপাত স্বাভাবিকের তুলনায় কম হওয়ায় খাদ্যদ্রব্যের দাম বেড়ে গিয়েছিল। সেই তথ্য বিবেচনায় রাখছেন বিশেষজ্ঞরা। পেঁয়াজ এবং আলুর দাম বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা শোনা গিয়েছে পাইকারি বাজারে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ভারতের মোট জাতীয় উৎপাদন অনুমানের তুলনায় ০.৩০ শতাংশ কমে যেতে পারে। 

কংগ্রেসের অন্যতম মুখপাত্র গৌরব বল্লভ এদিন বলেন, ‘‘কৃষকরা সত্যিই দাম পাচ্ছেন না। কম দামেই ফসল বিক্রি করতে হচ্ছে তাঁদের। কিন্তু তাঁরাই বাজারে গিয়ে নিজেদের ব্যবহারের জিনিস কেনার সময় মূল্যবৃদ্ধির শিকার হচ্ছেন।’’ 

কংগ্রেসের বক্তব্য, কৃষকের আয় দ্বিগুন করার ঘোষণা শুনিয়ে যাচ্ছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। বাস্তবে কৃষকের খরচ বাড়ছে। এখনই সরকারের উচিত পেট্রোল, ডিজেল এবং গ্যাসের দাম কমানো। কারণ আন্তর্জাতিক বাজারে এখন দাম কমে গিয়েছে। 

বল্লভ সরকারি তথ্য তুলে বলেছেন, ‘‘মে’তে পাইকারি বাজারে মূল্যবৃদ্ধি হ্রাসের যে তথ্য মিলেছে তার কারণ মূল ধাতু, খাদ্য দ্রব্য, বস্ত্র, অপরিশোধিত তেলের দাম কমে যাওয়া। কিন্তু খুচরো বাজারে মূল্যবৃদ্ধির হার ৪.২৫ শতাংশ। কারণ বড় ব্যবসায়ীরা দাম হ্রাসের যো সুবিধা পাচ্ছেন তা সাধারণ জনগণকে দিচ্ছেন না।’’

Comments :0

Login to leave a comment