Siddaramaiya's Oath ceremony

কান্তিরাভায় শপথ নিলেন সিদ্দরামাইয়া

জাতীয়

বেঙ্গালুরুর কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিলেন সিদ্দারামাইয়া। উপমুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিলেন ডিকে শিবকুমার। এছাড়া আরও আটজন কংগ্রেস বিধায়ক শপথ নিয়েছেন।
একক সংখ্যা গরিষ্ঠাতা নিয়ে দক্ষিণী এই রাজ্যে সরকার গঠন করছে কংগ্রেস। ২৪৪ টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস পেয়েছে ১৩৫ টি আসন। কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রীকে হবেন তা নিয়ে দিল্লিতে দফায় দফায় বৈঠকে বসে হাইকমান্ড। সিদ্দারামাইয়া এবং ডিকে শিবকুমার দুজনেই মুখ্যমন্ত্রীত্বের দাবিদার ছিলেন। 
কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল এবং রাহুল গান্ধী ব্যাক্তিগত ভাবে এই দুই নেতার সাথে কথা বলেই সিদ্দারামাইয়ার নাম মুখ্যমন্ত্রী এবং শিবকুমারের নাম উপমুখ্যমন্ত্রী হিসাবে ঘোষণা করে। এদিনের শপথে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়গে, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন, সিপিআই(এম)’র সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, সিপিআইয়ের ডি রাজা, রিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার, উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব, ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোড়েন, এনসিপি সভাপতি শরদ যাদব, জম্মু এবং কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি এবং ফারুখ আব্দুল্লা। অভিনেতা কমন হাসানও উপস্থিত ছিলেন। তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জীকে আমন্ত্রন জানালেও তিনি জাননি, কোন প্রতিনিধিও পাঠাননি। 


বৃহস্পতিবার নাম ঘোষণার পর সংবাদমাধ্যমকে সিদ্দারামাইয়া বলেছেন, ‘‘আমরা সব সময় ঐক্যবদ্ধ থাকবো। ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করবো। কংগ্রেস একটি পরিবারের মতো কাজ করবে।’’ টুইটারে শিবকুমার লিখেন, ‘‘কর্ণাটকবাসীর উন্নয়ন আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য এবং এই কাজে আমরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে এগিয়ে যাবো।’’
সূত্রের খবর প্রথম থেকে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার জেদ ধরে থাকলেও সনিয়া গান্ধীর কথায় সেই জেদ ছাড়তে বাধ্য হয় শিবকুমার। এর আগে দলের শীর্ষ নেতৃত্বর পক্ষ থেকে সিদ্দারামাইয়াকে দুবছর জন্য এবং শিবকুমারকে তিন বছরের জন্য মুখ্যমন্ত্রী থাকার প্রস্তাব দেওয়া হলে দুজনেই তাতে আপত্তি জানায়।  
২০১৩ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন সিদ্দারামাইয়া। ২০১৮ সালে কংগ্রেস জেডিএস জোট সরকার করলেও বিধায়ক ভাঙিয়ে সরকার ফেলে দেয় বিজেপি। কিন্তু এবার একক শক্তিতে সরকার গঠন করছে কংগ্রেস।


উল্লেখ্য শনিবার কর্ণাটকের ফলাফল পর থেকে কংগ্রেসর পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর নাম না ঘোষনা করায় বিজেপির পক্ষ থেকে একাধিক সংবাদমাধ্যমে অপপ্রচার চালানো হতে থাকে। রাজস্থান, ছত্তিশগড়ের একাধিক উদাহরন টেনে কংগ্রেসকে বিপাকে ফেলার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু একাধিক বিজেপি শাসিত রাজ্য মুখ্যমন্ত্রী ঠিক করতে যে দীর্ঘ সময় নেওয়া হয়েছে তার কোন উল্লেখ করা হয়নি সংবাদমাধ্যম গুলির পক্ষ থেকে।


শনিবার ফল ঘোষনার পর রবিবার সংসদীয় দলের বৈঠকে গোপন ব্যালটে নিজেদের মতামত জানান জয়ী সদস্যরা। সেই ভোটের ফলাফল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে প্রকাশ করা হয়নি। তবে সূত্রের খবর তার ফলাফল রয়েছে হাইকমান্ডের কাছে। সোমবার সিদ্দারামাইয়া দিল্লি যাওয়া এবং পরে শিবকুমারের দিল্লি যাওয়া নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়। তবে শিবকুমার জানিয়ে ছিলেন যে, দল তাকে যেই দায়িত্ন দেবে তিনি তা পালন করবেন। এবারের নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করেছেন শিবকুমার। অনেকে মনে করেছিলেন ৭৫ বছর বয়সী সিদ্দারামাইয়ার বদলে ৬১ বছর বয়সী শিবকুমার হয়তো এবার মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন। ফল ঘোষনার পর সংবাদমাধ্যমে দেওবা সাক্ষাৎকারে শিবকুমার জানিয়েছিলেন যে তিনি সনিয়া গান্ধীকে কথা দিয়েছিলেন যে কর্ণাটকে দলকে জেতাবেন, সেই কথা রাখতে পেরে তিনি আপ্লুত।

Comments :0

Login to leave a comment