HUNGER: WORLD AND INDIA

বিশ্বে ক্ষুধার্ত ৮২.৮ কোটি, গ্রহের
প্রতি চার ক্ষুধার্তের একজন ভারতীয়

জাতীয় আন্তর্জাতিক

HUNGER WORLD AND INDIA ছবি: টুইটার থেকে।

এই বিশ্বের প্রতি দশের মধ্যে অন্তত এক বাসিন্দাকে খিদে নিয়েই ঘুমিয়ে পড়তে হয়। অভুক্ত, ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা এই বিশ্বে ৮২.৮ কোটি, বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় ১০ শতাংশ। ২০১৯ থেকে ২০২১’র মধ্যে, মাত্র দু’বছরে, ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা বেড়েছে ১৫ কোটি।

এই বিশ্বের ক্ষুধার্ত প্রতি চার বাসিন্দার একজন ভারতীয়। যে ভারত মোট জাতীয় উৎপাদনে পঞ্চম বৃহত্তম। ‘নতুন ভারত’ সমানে নেমে যাচ্ছে ক্ষুধার সূচকে। 

অত্যন্ত ক্ষুধার্ত, পেট না ভরার কারণে অসুখের শিকার হয়ে জীবন বিপন্ন, এমন মানুষ বিশ্বে ২৫ কোটি ৮০ লক্ষ।  

রাষ্ট্রসঙ্ঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা ‘এফএও’ এবং ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের বিভিন্ন তথ্য এই বাস্তবতা তুলে ধরেছে। ক্ষুধা এবং খাদ্য জোগান সংক্রান্ত প্রচারে জড়িত বিভিন্ন সংগঠন ২৮ মে বিশ্বজুড়ে ‘ক্ষুধা দিবস’ পালন করে। উদ্দেশ্য, ক্ষুধার সঙ্কটের পিছনে রাষ্ট্রীয় পরিকল্পনা এবং বিশ্বস্তরে চিন্তার গলদ তুলে ধরা। 

রাষ্ট্রসঙ্ঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ক্ষুধার্তদের দুই তৃতীয়াংশ মহিলা। সামাজিক এবং পারিবারিক বঞ্চনার শিকার মহিলাদের খাবার জোটে ঘরের আর সবার পর। এর মধ্যে রয়েছে কিশোরীরাও, যাদের বঞ্চিত হতে হয় বড় হয়ে ওঠার সময় থেকে। 

খাদ্য ও কৃষি সংগঠনের ২০২২’র রিপোর্টই জানিয়েছে যে নির্দিষ্ট ভৌগলিক অঞ্চলে অভুক্ত মানুষের সংখ্যাধিক্য চোখে পড়ার মতো। যে অঞ্চলগুলি বিশ্বে পরিচিত জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমস্যাসঙ্কুল হিসেবে, সেখানে ক্ষুধার্তদের প্রায় ৮০ শতাংশের বাস। কয়েকটি বিষয়কে ক্ষুধার কারণ হিসেবে নির্দিষ্ট করেছে রাষ্ট্রসঙ্ঘ। তার মধ্যে যেমন যুদ্ধ রয়েছে তেমনই রয়েছে জলবায়ু পরিবর্তনও। আবার প্রতিবেদনে দেখা গিয়েছে যে অর্থনৈতিক ধাক্কা এবং কোভিড-১৯ ক্ষুধার তীব্রতা বাড়িয়েছে। 

ক্ষুধা এবং অর্থনীতি বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, খাদ্যদ্রব্যের দাম সমানে বেড়ে যাচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তন অনেকক্ষেত্রে উৎপাদন হ্রাস করছে। সেটিও কারণ। রাষ্ট্রসঙ্ঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার হিসেব খাদ্যদ্রব্যের দাম চড়া হারে বাড়ার কারণেও ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। চিনি, মাংস, দুধ, দানাশস্য, ভোজ্যতেলের সঙ্গে অন্য খাদ্যদ্রব্যের দাম ধরে সূচক তৈরি করে খাদ্য ও কৃষি সংস্থা। এই সূচকের মান ২০১৯ থেকে ২০২২’র মধ্যে ৯৫.১ থেকে ১৪৩.৭-এ পৌঁছেছে। 

ভারতে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যায় বারবার প্রশ্ন উঠলেও কোনও সমীক্ষাতেই মাথা ঘামাতে নারাজ কেন্দ্রে আসীন বিজেপি। কিন্তু খাদ্য ও কৃষি সংগঠন জানাচ্ছে যে আন্তর্জাতিক স্তরে বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় আয় ১.৯ ডলার দিনে জোটে না ভারতে ২১ শতাংশের। বিশ্বের ক্ষুধার্তদের ২৫ শতাংশ ভারতেই। বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে ভারত ১২১ দেশের মধ্যে নেমে পৌঁছেছে ১০৭-এ। 

Comments :0

Login to leave a comment