প্রাকৃতিক সম্পদের ভান্ডার বলা হয় ঝাড়খন্ডকে। রয়েছে কয়লা, আকরিক লোহা সহ বিভিন্ন খনিজ ধাতুর খনি। কিন্তু সেই প্রাকৃতিক সম্পদকে কর্পোরেট পুঁজির হাতে তুলে দেওয়ার চক্রান্ত করছে কেন্দ্রীয় সরকার। একই সঙ্গে অবাধে চলছে জঙ্গল ধ্বংস এবং আদিবাসী মানুষকে তাঁর গ্রাম থেকে উচ্ছেদ করা। এরই বিরুদ্ধে ঝাড়খন্ডে যৌথ আন্দোলন গড়ার ডাক দিল সিপিআই(এম) সহ ৭টি বামপন্থী দল।
রাঁচিতে একটি কনভেনশনের ডাক দেয় সিপিআই(এম), সিপিআই, সিপিআই(এম-এল), মার্কসিস্ট কো-অর্ডিনেশন কমিটি, আরএসপি, ফরোয়ার্ড ব্লক এবং এসইউসিআই। সেই কনভেনশন থেকেই যৌথ আন্দোলন গড়ে তোলার কথা বলা হয়। কনভেনশনে বামপন্থী নেতৃবৃন্দ বলেন, সাম্প্রদায়িক শক্তি এবং কর্পোরেট পুঁজির জোটের বিরুদ্ধে শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তোলা সময়ের দাবি। একমাত্র এই পথেই কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী নীতিগুলিকে পরাস্ত করা সম্ভব।
বামপন্থী নেতৃবৃন্দ যৌথ আন্দোলনের মাধ্যমে মানুষের সামনে প্রকৃত বিকল্প তুলে ধরার কথা বলেছেন । একইসঙ্গে কনভেনশনে সর্ব সম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, কর্পোরেট পুঁজি এবং সাম্প্রদায়িক শক্তির জোটের বিরুদ্ধে বামপন্থী এবং ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিগুলির সম্ভাব্য সর্বোচ্চ ঐক্য গড়ার চেষ্টা চালাবেন বামপন্থীরা।
কনভেনশন থেকে আন্দোলনের প্রাথমিক রূপরেখা ঠিক হয়েছে। জনমত তৈরির জন্য ব্লকে ব্লকে কনভেনশনের আয়োজন করা হবে। এর পাশাপাশি ব্লক এবং জেলা স্তরে বিক্ষোভ এবং আইন অমান্য কর্মসূচিও গ্রহণ করা হবে। রাজ্য জুড়ে বামপন্থীদের উদ্যোগে জাঠা মিছিলও করা হবে। জাঠা শেষে চলতি বছরের ডিসেম্বরের শেষে রাঁচি শহরে বিশাল জন সমাবেশেরও লক্ষমাত্রা নেওয়া হয়েছে।
Comments :0