Kalyani JNM Hospital

গণইস্তফার পথে কল্যাণী জেএনএম'র ৭৭ চিকিৎসক

রাজ্য

ন্যায়বিচারের দাবিতে ধর্মতলায় জুনিয়র ডাক্তার আমরণ অনশনে শামিল। তাঁদের দাবির সমর্থনে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ৫০ জন সিনিয়র ডাক্তার একসঙ্গে ইস্তফা দিয়েছেন। সেই সঙ্গে একাধিক হাসপাতালে চিকিৎসকরা গণইস্তফা দিয়েছেন।  সরকারকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে ইতিমধ্যে কর্মবিরতিতে যাওয়ার ঘোষণা করেছেন একাধিক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চিকিৎসক-সহ স্বাস্থ্য কর্মীরাও। এবার সেই পথে হাঁটতে চলেছেন কল্যাণী জেএনএম'র চিকিৎসকরা। 

গত বৃহস্পতিবার রাতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন অনশনরত জুনিয়র চিকিৎসক অনিকেত মাহাতো। তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে আরজি কর হাসপাতালে। চিকিৎসক অনিকেত মাহাতোর শারীরিক অবস্থা আগের থেকে উন্নতি করেছে বলে খবর। অনশনকারী জুনিয়র চিকিৎসক অলোক কুমার ভার্মাকে শনিবার সকালে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়। রবিবার সকালে তিনি স্থিতিশীল আছেন বলে খবর। শনিবার রাতে  অসুস্থ হয়ে পড়েন অনশনরত ডাক্তারি পড়ুয়া অনুষ্টুপ মুখার্জি। তাঁকেও মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়। তাঁর জন্য ৯ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টা অত্যন্ত সংকটজনক শারীরিক অবস্থা বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক অধ্যাপক সৌমিত্র ঘোষ।

আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ঠিক দু’মাস আগে ঘটে গিয়েছিল সেই নৃশংস ঘটনা। কর্মরত অবস্থায় জুনিয়র চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছিল। তার ন্যায়বিচার এখনও মেলেনি, উপরন্তু রাজ্য সরকারের তরফে জুনিয়র ডাক্তাররা আন্দোলনে নেমে শুধুই অসহযোগিতা পেয়েছেন। বাধ্য হয়ে তাঁরা অনশনের রাস্তা বেছে নিয়েছেন। ধর্মতলা চত্বরে ধরনা মঞ্চে জুনিয়র ডাক্তার অনশনে রয়েছেন। তাঁদের অনশন এই নিয়ে নবম দিনে পা দিল। ১৮৬ ঘন্টা অতিক্রান্ত তবুও নির্বিকার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। ধর্মতলায় এখনও ১০ দফা দাবিতে অনড় অনশনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা।সোমবার গণ ইস্তফা দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কল্যাণী কলেজ অব মেডিসিন এন্ড জহরলাল নেহেরু মেমোরিয়াল হাসপাতালের ৭৭ জন সিনিয়র চিকিৎসক। রবিবার মেল করে মেডিক্যাল কলেজের রেজিস্ট্রারকে নিজেদের সিদ্ধআন্তের কথা জানিয়েছেন তাঁরা। রাজ্যকে ২৪ ঘন্টার সময় বেঁধে দিয়ে চিঠি সোমবার গণইস্তফার পথে হাঁটবেন বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন।

কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালের চিকিৎসকদের দাবি,  ধর্মতলায় আমরণ অনশন করছে জুনিয়ররা। তাঁরা একে একে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এই পরিস্থিতিতে আমাদের কাজ করার মত মানসিক শক্তি নেই। অনিচ্ছা সত্ত্বেও কাজ করতে গেলে সেটা ঝুঁকি হতে পারে। ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে নারাজ তাঁরা।

Comments :0

Login to leave a comment