Indo Bangla Trade

আটকে বাণিজ্য, থমথমে সীমান্তের গ্রাম

রাজ্য

চ্যাংরাবান্ধা স্থল বানিজ্য কেন্দ্র ও ইমিগ্রেশন চেকপোষ্ট। ছবি- জয়ন্ত সাহা।

জয়ন্ত সাহা (চ্যাংরাবান্ধা)- প্রবীর দাস (বসিরহাট)
বাংলাদেশ অশান্ত প্রভাব পড়লো সীমান্তের এপারের চ্যাংরাবান্ধা স্থল বানিজ্য কেন্দ্র ও ইমিগ্রেশন চেকপোষ্টে। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ ও দেশছাড়া এবং সেনার হাতে বাংলাদেশের দায়িত্ব যাওয়ায় সড়ক বনিজ্য এখন প্রশ্ন চিহ্নের মুখে! থমথমে ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে ঘোজাডাঙ্গা সীমান্ত। সীমান্ত লাগোয়া ইটিন্ডা পানিতর, গাছা আখারপুর সহ অন্যান্য গ্রামগুলিতে থমথমে ভাব। বিএসএফের তৎপরতা তুঙ্গে। চলছে টহলদারি। জোর ধাক্কা আমদানি রপ্তানি ব্যবসায়। আতঙ্কে সীমান্ত লাগোয়া গ্রামগুলির বসবাসকারী মানুষজন। অনির্দিষ্টকালের জন্য বাংলাদেশে বিমান পরিষেবা বন্ধ রাখল এয়ার ইন্ডিয়া।
বন্ধ রাখা হয়েছে ভারত-বাংলার মিতালি এক্সপ্রেসও। রবিবারই আঁচ করা গেছিলো ফের সড়ক বানিজ্য থমকে যেতে বসেছে। অন্যদিন সন্ধ্যা ৬ টা অব্দি বানিজ্য ও যাতায়াত চালু থাকলেও রবিবার বিকেল ৫ টাতেই গেট বন্ধ হয়ে যায়।
সোমবার ভোরের আলো ফুটতেই বাংলাদেশের বুড়িমারির দিক থেকে পন্য নিয়ে যাওয়া বেশ কিছু ফাঁকা লরি জিরো পয়েন্টে আসে। দুপুরের পর থেকেই জিরো পয়েন্টের ওপারে বাংলাদেশের সেনার গাড়িকে টহল দিতে দেখা যায়।
চ্যাংরাবান্ধা এক্সপোর্ট এসোশিয়েশনের সভাপতি,মনোজ কুমার কানু বলেন,ফের রপ্তানী বন্ধ হয়ে গেল।আগেরবার ৫ দিনেই ব্যবসা স্বাভাবিক হয়ে গেছিল।কিন্তু এবার কতদিন? বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরাও সেটা জানাতে পারে নি।রবিবার রাতেই ব্যবসায়ীরা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলেন সোমবার পন্য পাঠানো হবে না।রাস্তায় দাঁড়িয়ে পন্য বোঝাই কয়েক শ লরি।অনিশ্চয়তার মুখে লরি চালকেরা।ভুটান থেকে আসা লরির চালকরা তাদের মালিক সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করছেন।বোল্ডার নিয়ে আসা এক লরির চালক সমীর থাপা বলেন,লরি নিয়ে ফিরে যেতে হবে বুঝি।এখানে বসে থেকে তো ক্ষতির পরিমান বাড়বে।বেলা ১২ টার মধ্যে শুনশান হয়ে যায় সড়ক বানিজ্যের সার্ক  রোড। এদিন সকাল থেকেই বিএসএফ সীমান্তে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা লাগু করেছে ইমিগ্রেশন চেকপোষ্ট এলাকায়।দুপুর দুটোর দিকে সীমান্তে বিএসএফ জওয়ানের সংখ্যা বাড়ানো হয়।
বিএসএফ হাই এলার্ট জারি করে সীমান্তে।বিশেষত নদীপথের এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া নেই।সেই পথে কেউ ঢুকে না পরে সেটা লক্ষ্য রাখছে বিএসএফ।
বেলা আড়াইটে নাগাদ জিরো পয়েন্টে খবর আসে সেদেশের প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন। এরপরেই দেখা যায় সীমান্তের এপারে পন্য বোঝাই লরি ফিরে যাচ্ছে সার্ক রোড ধরে ভুটানের দিকে।অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য বন্ধ হয়ে গেল সড়ক বানিজ্য ও ইমিগ্রেশন চেকপোষ্ট।ইমিগ্রেশন চেক পোষ্টের আধিকারিকরা জানিয়েছেন,মঙ্গলবার এই পথে যাতায়াত করবে কিনা সে বিষয়ে ওপরের নির্দেশের অপেক্ষায় আছি।
জানা গেছে উত্তর দিনাজপুর জেলায় ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত রয়েছে ২১৯ কিলোমিটার। সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে পুলিশ ও বিএসএফের নজরে রয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, বিহার বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় নজরদারি ও রাতে টহলদারি চলছে জেলার বাস স্ট্যান্ড স্টেশন লাগোয়া এলাকা বাড়তি নজর থাকবে বাড়তি নজর থাকবে। ইসলামপুরের পুলিশ সুপার জেবি থমাস বলেন, ‘আমাদের পুলিশ কর্মীরা সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে নজরদাড়ি বাড়িয়েছে। এছাড়া প্রচুর নাকা চেকিং রাখা হয়েছে।’

Comments :0

Login to leave a comment