তিন রাজ্যে নির্বাচনী ফলাফল বিশ্লেষণ করতে বৈঠক করছে কংগ্রেস। ২৯ নভেম্বর বৈঠক কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির।
হরিয়ানা এবং মহারাষ্ট্রে জয়ের পরিস্থিতি থাকলেও তা সম্ভব হয়নি।
মঙ্গলবার দলের ‘সংবিধান দিবস’ পালনের অনুষ্ঠানে বৈদ্যুতিন ভোট যন্ত্র বাতিলের দাবি তুলেছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। দিল্লির তালকাটোরা স্টেডিয়ামে তিনি বলেছেন, ‘‘আমরা ইভিএম চাই না, ব্যালট পেপার ফিরিয়ে আনা হোক।’
মহারাষ্ট্রে কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক এবং কর্নাটকের মন্ত্রী জি পরমেশ্বরও বিধানসভার ফলে ইভিএম কারচুপির আশঙ্কা জানিয়েছিলেন। কংগ্রেস যদিও এখনও মহারাষ্ট্রে পরাজয়ের একমাত্র কারণ হিসেবে বিষয়টিকে নির্দিষ্ট করেনি।
বিজেপি পালটা প্রশ্ন তুলেছে যে তা’হলে ঝাড়খন্ডে কিভাবে জয়ী হলো জেএমএম-কংগ্রেস জোট স্পষ্ট গরিষ্ঠতা পেল? পরমেশ্বরের বক্তব্য, মহারাষ্ট্র বড় রাজ্য হওয়ায় সেখানে এমন কারচুপি হওয়ার আশঙ্কা বেশি। জায়গা বেছে নিয়ে চালানো হচ্ছে কারচুপি।
মহারাষ্ট্র এবং হরিয়ানা, দু’রাজ্যেই কংগ্রেসের জয়ের সম্ভাবনা যথেষ্ট ছিল। হরিয়ানায় প্রায় একা লড়লেও মহারাষ্ট্রে কংগ্রেস লড়েছে এনসিপি (শারদ পাওয়ার) এবং শিবসেনা (উদ্ধব থ্যাকারে)-র সঙ্গে জোট করে। লোকসভা নির্বাচনে মহারাষ্ট্রে মোট ৪৮ আসনের মধ্যে ৩০টিতেই জয়ী হয়েছিল কংগ্রেস জোট। হরিয়ানায় ১০ আসনের মধ্যে ৫টিতে জয়ী হয় কংগ্রেস। কিন্তু বিধানসভা ভোটে সেই সম্ভাবনা মেলেনি।
কংগ্রেস ধাক্কা খাওয়ায় জাতীয় স্তরে সংসদীয় বোঝাপড়া ঘিরে ফের পুরনো কৌশল নিয়েছে তৃণমূল। সোমবার মল্লিকার্জুন খাড়গে সহযোগী দলগুলির বৈঠক ডেকেছিলেন সংসদে সমন্বয়ের জন্য আলোচনায়। সে বৈঠকে যোগ দেয়নি তৃণমূল।
সোমবারই কলকাতায় দলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক হয়েছে। এক প্রশ্নে দলের নেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়েছেন যে এই বৈঠকে আদানির বিরুদ্ধে নতুন অভিযোগ নিয়ে আলোচনা হয়নি। সংসদে আলোচনার দাবিতে বিরোধী দলগুলি সরব হলেও তৃণমূলকে দেখা যায়নি। হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টের সময়ও বিরোধী অন্য দলগুলির থেকে দূরে সরে ছিল তৃণমূল।
লোকসভায় দলের নেতা কল্যাণ ব্যানার্জি এদিন সংবাদমাধ্যমে বলেছেন যে সম্ভাবনা সত্ত্বেও হরিয়ানা এবং মহারাষ্ট্রে জয়ী হয়নি কংগ্রেস। ‘ইন্ডিয়া’ মঞ্চ থাকলেও ফলাফল আশাপ্রদ নয়। ‘ইন্ডিয়া’ মঞ্চকে শক্তিশালী করতে কোনও একজনকে নেতৃত্ব দিতে হবে।
তৃণমূল এই দফায় উপনির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে ৬ আসনেই বিজেপি-র পরাজয়কে দেখিয়েছে। তবে এই দফায় দেখা গিয়েছে রাজ্যের সরকারে আসীন দলই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আসন জিতেছে। যেমন কর্ণাটকে ৩টি বিধানসভা আসনের সবকয়টিতে কংগ্রেসই জয়ী হয়েছে। আসামে আবার ৫টি’র প্রতিটিতেই জণী বিজেপি।
CONGRESS ELECTIONS
হরিয়ানা, মহারাষ্ট্রে হার খুঁজতে ২৯ নভেম্বর বৈঠক কংগ্রেসের
×
Comments :0