PM Modi

বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে বিশেষ বৈঠক প্রধানমন্ত্রীর

জাতীয়

বাংলাদেশ অশান্ত, সতর্ক রয়েছে ভারত সরকার। নিরাপত্তা সংক্রান্ত ক্যাবিনেট কমিটির জরুরী বৈঠক ডাকলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকটের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সভাপতিত্বে সোমবার সণ্ধ্যায় এই বৈঠক হয়। জরুরিকালীন বৈঠকে ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব রাজীব গৌবা, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব পিকে মিশ্র, গবেষণা ও বিশ্লেষণ শাখার প্রধান রবি সিনহা এবং গোয়েন্দা ব্যুরোর পরিচালক তপন ডেকা। নিরাপত্তা সংক্রান্ত ক্যাবিনেট কমিটির বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী। 
এদিন হিন্দোন বিমান ঘাঁটিতে গিয়ে প্রাক্তন বাংলাদেশি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। প্রায় এক ঘণ্টা বৈঠক হয় তাঁদের। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল লন্ডনে। সূত্রের খবর ব্রিটেনের তরফে ছাড়পত্র না পাওয়ায় ভারতেই রয়েছেন তিনি। শেখ হাসিনাকে 'সুরক্ষিত স্থানে রেখে দেওয়া হল বাড়তি নিরাপত্তাও।
এদিন দুপুরে সেখ হাসিনার ঢাকা ছাড়ার খবর চাউর হতেই রাস্তায় নামে মানুষের ঢল। থমথমে পরিবেশের মধ্যেও শোনা যায় একের পর এক বাজি ফাটানোর শব্দ। উন্মত্ত মানুষ বেনাপোলে মুজিবর রহমান, হাসিনার ছবি ছিঁড়ে ফেলে। এপার থেকেই দেখা যায় ওপারে মানুষ দৌড়াদৌড়ি করছে। দুপুর আড়াইটে নাগাদ এক মুহূর্ত দেরি না করে বিজিবি বন্ধ করে দেয় মূল গেট। মূল রাস্তার দখল নেয় সীমান্তরক্ষীরা।
পেট্রাপোল সীমান্তে তখন অসংখ্য পর্যটক ফেরার অপেক্ষায়। তাদের মধ্যে শুরু হয় কান্নাকাটি। সকাল থেকেই মোতায়েন ছিল পর্যাপ্ত বিএসএফ জওয়ান। তারাও দ্রুত সীমান্তে নজরদারি বাড়িয়ে দেন। এপারের গেট বন্ধ করে পারাপারের রাস্তা মানুষ শূন্য করে দেওয়া হয়। গেটের কাছে কাউকে ঘেঁষতে দেওয়া হয়নি। এমনকি সাংবাদিকদেরও যেতে দেওয়া হয়নি। ঘোর অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েন যাত্রীরা। প্রমদিকে নিতে না চাইলেও পরে উপর মহলে বিশেষ উদ্যোগ নিয়ে শুল্ক দপ্তরের মধ্যস্থতায় সীমান্তে অবস্থানকারী কিছু পর্যটককে ওপারে পাঠানো হয় সে দেশের সীমান্তরক্ষীদের সাহায্যে।

Comments :0

Login to leave a comment