সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই) বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ধর্ষণ ও হত্যার বিষয়ে তার স্ট্যাটাস রিপোর্ট পেশ করেছে। তার স্ট্যাটাস রিপোর্টে, সিবিআই বলেছে যে অপরাধের দৃশ্য পরিবর্তন করা হয়েছিল এবং নিহতের পরিবারকে তাদের মেয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে বিভ্রান্ত করা হয়েছিল।
ভারতের প্রধান বিচারপতি (সিজেআই) ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে একটি বেঞ্চে ধর্ষণ-খুনের মামলার শুনানির সময়, সিবিআইয়ের প্রতিনিধিত্বকারী সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা এফআইআর দায়েরে বিলম্বকেও চিহ্নিত করেন এদিন।
‘‘সবচেয়ে চমকপ্রদ তথ্য হল যে দেহ দাহ করার পর রাত ১১:৪৫ টায় প্রথম এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছিল। বাবা-মাকে বলা হয়েছিল এটি একটি আত্মহত্যা, মৃত্যু এবং তারপর হাসপাতালের নিহতের বন্ধুরা ভিডিওগ্রাফির জন্য জোর দিয়েছিল। তারা সন্দেহ করেছিল যে কিছু গন্ডগোল হয়েছে,’’ মেহতা বলেছেন।
আমরা তদন্তের পঞ্চম দিনে বুঝেছিলাম অপরাধের দৃশ্য সহ সবকিছু পরিবর্তন করা হয়েছিল,’’ তিনি বলেছেন।
সিবিআই বলেছে যে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সংবেদনশীলতার সাথে মামলা পরিচালনা করারা ক্ষেত্রে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ত্রুটি খুঁজে পেয়েছে। তদন্ত সংস্থা বিশ্বাস করে যে এই ধরনের ক্ষেত্রে সমস্ত প্রোটোকল জানা সত্ত্বেও, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ডাঃ সন্দীপ ঘোষকে অধ্যক্ষ হিসাবে বরখাস্ত করেলেও অপরাধের দৃশ্যকে সম্পূর্ণরূপে রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টকে জানানো হয় যে সন্দীপ ঘোষকে ধর্ষণ-খুনের তথ্য দেওয়ার পরেও সক্রিয়ভাবে কাজ করেননি। এক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবেই প্রশন উঠছে সন্দীপ ঘোষকে বরখাস্ত করা হলেও কিসের জোরে নিমেষের মধ্যেই তাকে মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ করা হয়? সন্দীপ ঘোষ তথ্য প্রমাণ লোপাট করার পরপরেই কি তাকে লোক দেখানো বরখাস্ত করা হয়?
অপরাধস্থলের কাছাকাছি দেওয়াল ভেঙে ‘সংস্কারের’ কাজটিও সিবিআই স্ক্যানারে রয়েছে এবং এই বিষয়ে ডঃ ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তদন্তকারী সংস্থা মামলায় এফআইআর নথিভুক্ত করতে বিলম্বেরও তদন্ত করছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, তদন্ত চলাকালীনই ফের সন্দীপ ঘোষকে স্বাস্থ্য দপ্তরের অধিকর্তা হিসবে নিয়োগ করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
Comments :0