বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকার দাবি করেন রাজ্যের কোন বিজেপি সাংসদ বা বিধায়ক বাংলা ভাগের দাবি তোলেনি। উল্লেখ্য বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবের বাংলা ভাগের প্রস্তাব নিয়ে যখন গোটা রাজ্য তোলপাড় সেই সময় প্রধানমন্ত্রীকে একটি চিঠি লেখেন রাজ্যের বিজেপি সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।
বালুঘাটের সাংসদ তার চিঠিতে উল্লেখ করেন উত্তরবঙ্গকে উত্তর-পূর্বের সাথে যোগ করার জন্য। তিনি কেন্দ্রে উত্তর পূর্বাঞ্চল প্রতিমন্ত্রীও বটে। তার এই চিঠি সামনে আসার পর থেকে আরও জোড়ালো হয়েছে বিতর্ক।
রাজ্য বিজেপির বিধায়ক এবং সাংসদ সংখ্যা উত্তরবঙ্গ থেকেই বেশি। বার বার বিভিন্ন ভাবে তারা দাবি করে এসেছে উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্য করার। একদিকে নিজেদের ভোটের কথা মাথায় রেখে উত্তরবঙ্গে তারা উষ্কানি দিচ্ছে আলাদা রাজ্যের। অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারির মতো নেতাকে দিয়ে বলানো হচ্ছে তারা বাংলা ভাগের বিরুদ্ধে। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা একথা বললেও তার দলের পক্ষ থেকে এই নিয়ে কোন বিবৃতি দেওয়া হয়নি। রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন এখানেই বিজেপি যদি সত্যি অখন্ড বাংলা চায় তাহলে তারা নিশিকান্তের কথার নিন্দা কেন করলো না?
রাজনৈতিক মহলের জোর জল্পনা, বিজেপি এবং আরএসএসের ওপর মহলের সবুজ সঙ্কেত না পেলে সংসদ দাঁড়িয়ে নিশিকান্ত দুবে কখনই মালদা, মুর্শিদাবাদ, ঝাড়খন্ডের একটি অংশ নিয়ে আলাদা কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চল গঠন করার।
এদিন বিধানসভায় তৃণমূল এবং বিজেপি দুই পক্ষের কেউ নিশিকান্তের মন্তব্যের কোন সমালোচনা করেনি। কোন নিন্দা প্রস্তাব তারা আনেনি।
বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ অনন্ত মহারায যেদিন গ্রেটার কোচবিহারের দাবি তুলেছিলেন সেদিনই সুকান্ত মজুমদার উত্তরবঙ্গ নিয়ে এই দাবি করেছেন। আর এই অনন্ত মহারাজের সাথেই তার বাড়ি গিয়ে বৈঠক করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। এদিন অনন্ত মহারাজের প্রস্তাব নিয়েও চুপ ছিল দুই পক্ষ।
Comments :0