উল্লেখ্য এসএসসি দুর্নীতি মামলার তদন্তচলাকালিন সামনে উঠে আসে ওএমআর শিট কারচুপির বিষয়টি। আদালতের নির্দেশে এসএসসি অফিসের সব হার্ডডিস্ক বাজেয়াপ্ত করে সিবিআই।
এছাড়া এদিন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাশে সিবিআই এর তদন্তকারি দল সিটের প্রধান অশ্বিন শেনভি জানান যে, শুধু মাত্র মেধাতালিকা নয় মূল প্যানেল থেকে শুরু করে ওয়েটিং লিস্ট সবেতেই রয়েছে দুর্নীতি। তাঁর দাবি নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করতে গিয়েই তাদের হাতে উঠে এসেছে এই তথ্য। এদিন আদালতে সিবিআই জানিয়েছে যে ২১ হাজার পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়েছে।
সূত্রের খবর শুনানি চলাকালিন এদিন বিচারপতি বসু বলেন, এই দুর্নীতির সাথে যাতা জড়িত তাদের কাউকে ছাড়া হবে না।
এসএসসি দুর্নীতির পাশাপাশি বিচারপতি বসুর এজলাশে পুরুলিয়ার ঝালদা হাই স্কুলের শিক্ষক বদলি সংক্রান্ত একটি মামলারও শুনানি ছিল এদিন। সেই মামলার শুনানি চলাকাকালিন বিচারপতি মন্তব্য করেন যে নিয়োগের সাথে সাথে বদলির ক্ষেত্রেও দুর্নীতি লক্ষ্য করা গিয়েছে। কিছুদিন পূর্বে পুরুলিয়া জেলা স্কুল পরিদর্শককে আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। সোমবার সকালে আদালতে তিনি হাজিরা দেন। সুত্রের খবর ঝালদা হাই স্কুলে ২১ টি শিক্ষক পদ থাকলেও এখন মাত্র ৮ জন শিক্ষক রয়েছেন। উৎসশ্রীতে বহু শিক্ষক বদলি নিয়ে অন্য জেলায় চলে যাওয়ায় পুরুলিয়ার বহু স্কুলে কমেছে ছাত্র শিক্ষকের অনুপাত। যার জন্য ব্যাহত হচ্ছে পঠন পাঠন। শিক্ষক সংগঠন এবিটিএ’র পক্ষ থেকে বার বার দাবি করা হয়েছে যে মোটা টাকার বিনিময় এই সব বদলি গুলি হচ্ছে। এদিন আদালতের পক্ষ থেকেও একই আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
Comments :0