বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের প্রয়াণে শ্রদ্ধা জানালো সিপিআই(এম) পলিট ব্যুরো। সমবেদনা জানিয়েছে তাঁর স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্য এবং সন্তান সুচেতনকে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পার্টির অনন্য নেতা এবং পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের প্রয়াণে গভীর শোক জানানো হচ্ছে। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০। বেশ কিছু সময় ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি।
বলা হয়েছে, ১৯৬৬-তে ছাত্র অবস্থায় পার্টিতে যোগ দেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। ছাত্র-যুব বহু আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গে গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশনের সম্পাদক হন ১৯৬৮-তে। ১৯৭১-এ সিপিআই(এম) রাজ্য কমিটি এবং ১৯৮২-তে রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী সদস্য হন। নিষ্ঠাবান কর্মী হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ একাধিক দায়িত্ব পালন করেন এবং পার্টিতে নেতৃত্বের ভূমিকা নেন এই সময়েই।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ১৯৮৫-তে পার্টির দ্বাদশ কংগ্রেস থেকে কেন্দ্রীয় কমিটিতে নির্বাচিত হন কমরেড বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। ২০০০ সালে পলিট ব্যুরো সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৫ পর্যন্ত পলিট ব্যুরো সদস্য থেকেছেন, পার্টির নীতি গ্রহণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বামফ্রন্ট সরকারের মন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে প্রায় তিন দশক দায়িত্ব পালনের পর্বে স্বতন্ত্র ভূমিকা নিয়েছেন তিনি। ২০০০’র নভেম্বরে জ্যোতি বসুর পর মুখ্যমন্ত্রী হন তিনি। এরপর আরও দু’বার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন তিনি। বামফ্রন্ট সরকারের নীতি এবং দৃষ্টিভঙ্গির ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা নিয়েছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সাংস্কৃতিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ রক্ষায় উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। ভালবাসা ছিল সাহিত্যের প্রতি। তিনি নিজেও ছিলেন কবি, লেখক এবং নাট্যকার। আন্তর্জাতিক স্তরে বিখ্যাত একাধিক সাহিত্যকর্ম অনুদান করেন বাংলায়। চীনের পরিবর্তন সম্পর্কে বহু লেখালেখি করেছেন, এই বিষয়েই একটি বইও লিখেছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বুদ্ধদেব ছিলেন একজন নিষ্ঠাবান কমিউনিস্ট। মুখ্যমন্ত্রী হয়েও অত্যন্ত সাদাসিধে সরল জীবনযাপন করেছেন। তারপরও সেই ধারা বজায় রেখেছেন, থেকেছেন দু’কামরার অতি সাধারণ ফ্ল্যাটে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তাঁর প্রয়াণের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গে কমিউনিস্ট ও বাম আন্দোলনের একটি অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি হলো।
Buddhadev Bhattacharya
নিষ্ঠাবান কমিউনিস্ট, শ্রদ্ধা জানিয়ে বলল পলিট ব্যুরো
×
Comments :0