বামপন্থার পুনর্জাগরণের লক্ষ্যে রাজ্য সম্মেলনকে ঘিরে চলবে প্রচার। রাজ্য সম্মেলনের অভ্যর্থনা গঠনের কর্মসূচিতে এই লক্ষ্য জানিয়েছেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।
ডানকুনিতে ২২ থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি সিপিআই(এম)’র ২৭ তম রাজ্য সম্মেলন হবে। শুক্রবার হুগলীর চন্ডীতলার গরলগাছায় সেই সম্মেলনের অভ্যর্থনা কমিটি গঠন হলো। সম্পাদক হয়েছেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য দেবব্রত ঘোষ, সভানেত্রী মিতালি কুমার।
শুক্রবার গরলগাছা হাইস্কুল মাঠে ছিলেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শ্রীদীপ ভট্টাচার্য সহ রাজ্য ও হুগলি জেলা নেতৃত্ব।
ডানকুনি স্পোর্টিং ক্লাবের মাঠে সম্মেলন শেষে হবে প্রকাশ্য সমাবেশ।
উল্লেখ্য ২০১১-তে রাজ্যে সরকার পরিবর্তনের পর এবারই কলকাতার বাইরে হচ্ছে রাজ্য সম্মেলন।
সেলিম বলেন, এই সম্মেলনকে ব্যবহার করা হবে জনতার সঙ্গে সংযোগ বাড়ানোর লক্ষ্যে। যাতে আরো বেশি মানুষকে জড়ো করা যায়। বিরোধীদের মধ্যেও যাঁরা বামমনোভাবাপন্ন ব্যক্তি আছেন, তাঁদেরও জড়ো করার প্রয়াস থাকবে। বামপন্থার পুনর্জাগরণ ঘটাতে হবে পশ্চিমবঙ্গে। সম্মেলনের আগেই সেই বাতাবরণ তৈরি হয়েছে।
সেলিম বলেন, বিচারের দাবিতে রাজ্যজুড়ে আন্দোলন, নারীর সমান অধিকার পক্ষে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই বাম পরিমণ্ডলকে আরো বেশি জোরদার করেছে।
ট্যাব কেলেঙ্কারি প্রসঙ্গে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, সমস্ত বিভাগের সমস্ত প্রকল্প দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে। আমাদের লড়াইটা হচ্ছে দুর্নীতি এবং দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। দুর্নীতি এত বাড়ে না যদি না দুষ্কৃতীদের যোগ থাকে। শাসক পুলিশ গুন্ডা বদমাইশ মিলে দুর্নীতির আখড়া করে তুলেছে রাজ্যকে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্টাইপেন্ডের টাকা,ছাত্রদের স্কলারশিপের টাকা, ১০০ দিনের টাকা, আবাস যোজনার টাকা, কৃষকদের জন্য বিভিন্ন যোজনা টাকা ঘিরে একই দুর্নীতি। তৃণমূলের দৌলতে রাজ্যে অসংখ্য জামতারা গ্যাং হয়েছে।
সেলিম বলেছেন, তৃণমূলের ঘনিষ্ঠ লোকজন আগে থেকেই ঠিক করে দিচ্ছে কে ফেল করবে আর কে পাস করবে। তাই আজ মানুষের নিরাপত্তা, নারীর নিরাপত্তা, সামাজিক নিরাপত্তার প্রশ্ন, সংখ্যালঘু নিরাপত্তার প্রশ্নের পাশাপাশি তথ্যের নিরাপত্তার প্রশ্ন দেখা দিচ্ছে। কারণ সরকার নিয়োগ করছে না। আউটসোর্সিং করানো হচ্ছে। সিভিক দিয়ে কাজ চলছে। কম্পিউটারে দেখা যাবে সিভিক আছে।
CPIM STATE CONFERENCE
সিপিআই(এম) রাজ্য সম্মেলনের অভ্যর্থনা কমিটি গঠিত, বামপন্থার পুনর্জাগরণের ডাক
×
Comments :0