ডাম্পিং গ্রাউন্ডের সীমানা প্রাচীর নেই। বেড়েই চলেছে আবর্জনা ফেলার জায়গা। তিস্তার জলে মিশছে আবর্জনা। নদী দূষণ রোধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছেন পরিবেশবিদরা। তবুও নির্বিকার জলপাইগুড়ি পৌরসভা। বুধবার ডাম্পিং গ্রাউন্ড সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা তীব্র ক্ষোভ জানিয়েছেন।
এলাকায় নোংরা আবর্জনার সাথে ফেলা হচ্ছে নার্সিংহোম, হাসপাতালের বর্জ্য, মানুষের দেহাংশ, কুকুর পাখিতে সেই দেহাংশ নিয়ে গিয়ে ফেলছে গ্রামবাসীদের বাড়িতে। নিয়ম অনুযায়ী এলাকার শিশু ও বয়স্কদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা ওষুধ দেওয়ার কথা থাকলেও কোনও নিয়মই মানছে না জলপাইগুড়ি পৌরসভা, অভিযোগ গ্রামবাসীদের। বাসিন্দরা বলছেন, ভাত খেতে পারেন না দুর্গন্ধে। জলপাইগুড়ি শহরের আবর্জনার দুর্গন্ধে বিয়ে পর্যন্ত ভাঙছে গ্রামের মেয়েদের। ডাম্পিং গ্রাউন্ড ঘিরে বিক্ষোভ দেখিয়ে ডাম্পিং গ্রাউন্ডে শেড তৈরির কাজ বন্ধ করে দেন পাহাড়পুর বালাপাড়ার গ্রামবাসীরা।
বুধবার সকালে এমন ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জলপাইগুড়ি কোতয়ালী থানার অন্তর্গত পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন জলপাইগুড়ি শহর সংলগ্ন বালা পাড়ায়।
উল্লেখ্য, এই গ্রামেই রয়েছে জলপাইগুড়ি পৌরসভা পরিচালিত ডাম্পিং গ্রাউন্ড। এখানে রোজ ফেলা হয় ২৫ টি ওয়ার্ডের আবর্জনা।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, এই আবর্জনার দুর্গন্ধে আমরা ভাত খেতে পারি না, আমাদের গ্রামে ছেলে মেয়ের বিয়ে সম্বন্ধ আসলে এই ডাম্পিং গ্রাউন্ডের চেহারা দেখেই বিয়ে বাতিল করে চলে যায়।
অপরদিকে সম্প্রতি জলপাইগুড়ি পৌর সভার বিভিন্ন এলাকার পথঘাট ক্ষতবিক্ষত থাকলেও শহরের বাইরে অবস্থিত এই ডাম্পিং গ্রাউন্ডে পৌঁছনোর জন্যে পিচের রাস্তা নির্মাণ শুরু হওয়ায় ক্ষুব্ধ এলাকার বাসিন্দারা। এদিন সেই রাস্তা নির্মাণের কাজের মান নিয়েও চরম উত্তেজনার ছবি উঠে আসে।
এলাকাবাসীর দাবি ডাম্পিং গ্রাউন্ডের সীমানা প্রাচীর নেই। তিস্তার জল বাড়লে জলে মিশছে আবর্জনা। যার জেরে বাড়ছে নদী দূষণ। অন্যদিকে সীমানা নির্দিষ্ট না থাকায় ক্রমেই বেড়ে চলেছে ডাম্পিং রাউন্ডের এলাকা। সীমানা প্রাচীর না হলে কোনোভাবেই তাঁরা আর ডাম্পিং গ্রাউন্ডের আবর্জনা ভর্তি গাড়ি ঢুকতে দেবেন না বলে জানান গ্রামবাসীরা।
Comments :0