BUDGET CONGRESS

কাজের ভয়াবহ সঙ্কট মানলেও প্রতিশ্রুতি ফাঁপা, বলল কংগ্রেস

জাতীয়

জয়রাম রমেশ। ছবি সংগ্রহ থেকে।

কর্মসংস্থানের সমস্যা যে মারাত্মক মানতে বাধ্য হয়েছেন অর্থ মন্ত্রী। তবে ঘোষণার ছড়াছড়ি থাকলেও কাজের কাজ হওয়ার সম্ভাবনা কম।
২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের বাজেট সম্পর্কে এই মর্মে প্রতিক্রিয়া জানালো কংগ্রেস। দলের নেতা এবং লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর মন্তব্য, ‘‘বরাবরের মতো নরেন্দ্র মোদী সরকারের বাজেটে ফাঁপা প্রতিশ্রুতি রয়েছে একাধিক। এই বাজেট ‘কুরশি বাঁচানোর’ লক্ষ্যে পেশ করা হয়েছে।’’
কংগ্রেস বলেছে, কর্মসংস্থান জাতীয় সঙ্কটের চেহারা নিয়েছে। এখনই নজর দেওয়া জরুরি। দলের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ বলেছেন, ‘‘দশ বছর ধরে মোদী সরকার অস্বীকার করে গিয়েছে যে কর্মসংস্থানের সঙ্কট মারাত্মক চেহারা নিয়েছে। এখন কৌশলগত কারণে স্বীকার করতে হচ্ছে সঙ্কটকে।’’
রমেশ ক্ষোভ জানিয়েছেন জাতীয় জনগণনার জন্য কোনও অর্থ বরাদ্দ না হওয়ায়। তিনি বলেছেন, ‘‘এই প্রথম দেশে দশকে একবার জনগণনার কাজ হলো না। মোদী সরকার কোভিডের অজুহাত দিয়ে এই কাজ বন্ধ করে রেখেছে। ২০২১ সালেই হওয়ার কথা ছিল জনগণনা। মানুষ বঞ্চিত হচ্ছেন। জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনে সুবিধা পেতে পারেন এমন ১০-১২ কোটি দেশবাসী তা পাচ্ছেন না জনগণনা না হওয়ায়।’’
রমেশের খেদ, ‘‘স্বীকার করা হলো সমস্যা নিরসনের জন্য যা করা হয়েছে প্রয়োজনের তুলনায় সামান্যই। কাজের কাজ করার লক্ষ্য জানানোর চেয়ে ঘোষণার ছড়াছড়ি বেশি বাজেট ভাষণে।’’ 
মঙ্গলবার বাজেটে ১ কোটি যুবককে দেশের ওপরের দিকে রয়েছে এমন পাঁচশো সংস্থায় শিক্ষানবিশ করার লক্ষ্য জানিয়েছেন সীতারামন। সোমবার অর্থনৈতিক সমীক্ষায় অর্থ মন্ত্রক খেদ জানিয়েছিল এমন কর্পোরেটদের ভূমিকায়। প্রচুর ছাড় এবং চড়া মুনাফা কামালেও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরিতে আগ্রহী নয় কর্পোরেট। 
রমেশ বলেছেন, ‘‘যুবদের শিক্ষানবিশ করে ভাতা দিয়ে কাজ পাওয়ার যোগ্য করে তোলার প্রকল্প এবার লোকসভা ভোটের আগে ঘোষণা করেছিল কংগ্রেস। কংগ্রেসের সেই প্রকল্পকেই মেনে নিতে হলো সরকারকে।’’
সেই সঙ্গে রমেশে সমালোচনা করেছেন সীতারামনের বাজেট ঘোষণাকে। তিনি বলেছেন, ‘‘সমস্যা হলো প্রকল্পটি গ্রহণ করা হলেও জোর দেওয়া হলো প্রচারে। এটাই বিজেপি সরকার বরাবর করে চলেছে। সব ডিপ্লোমা এবং স্নাতকদের জন্য এই প্রকল্প খোলা দরকার ছিল। কংগ্রেস সেভাবেই বলেছিল। কিন্তু বাজেটে এমন নির্দিষ্ট মাপকাঠি ঘোষণা করা হলো না।’’
রমেশ মনে করিয়েছেন শিক্ষানবিশ হিসেবে প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করার জন্য আইন পাশ করানোর লক্ষ্য জানিয়েছিল তাঁর দল। শিক্ষানবিশ থাকাকালীন প্রত্যেককে বছরে ১ লক্ষ করে টাকা সহায়তা দেওয়ার ঘোষণাও করা হয়েছিল। প্রশিক্ষণ পর্ব শেষের পর স্থায়ী কাজের ঘোষণাও করা হয়েছিল কংগ্রেসের নির্বাচনী ইশ্‌তেহারে। তিনি বলেন, বাজেটে এই নিশ্চয়তা দেওয়া হলো না।

Comments :0

Login to leave a comment