জুনেও খুচরো বাজারে খাদ্যদ্রব্যের দাম বৃদ্ধির হার থেকেছে ৯.৪ শতাংশ। যার জেরে ক্রেতা মূল্য সূচকের নিরিখে মূল্যবৃদ্ধির হার হয়েছে ৫.০৮ শতাংশ। গত চার মাসের মধ্যে জুনেই মূল্যবৃদ্ধির হার সবচেয়ে বেশি থেকেছে।
গ্রামাঞ্চলেও মূল্যবৃদ্ধির হার ৫.৩ শতাংশ থেকে বেড়ে জুনে হয়েছে ৫.৬৬ শতাংশ। শহরাঞ্চলে ৪.২ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৪.৪ শতাংশ। খাদ্যে মূল্যবৃদ্ধির হার শহরাঞ্চলে ৯.৫৫ শতাংশ। গ্রামে ৯.২ শতাংশ।
ক্রেতা মূল্য সূচক হিসেব করা হয় জনতার প্রতিদিনের বাজারে জিনিসপত্রের দামের নিরিখে। তার মধ্যে খাদ্যদ্রব্যের পাশপাশি অন্য ব্যবহার্যও হিসেব করা হয়।
সরকারি হিসেবের বিবরণ দিয়ে সিপিআই(এম) সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির মন্তব্য, ‘‘জনতার দিনযাপন আরও কষ্টকর করে তুলছে এই সরকার। এনডিএ সরকারের উচিত ‘মোদীনোমিকস’ ভেঙে বেরনো।’’
বাজেট নিয়ে প্রস্তুতির মধ্যে ইয়েচুরি বলেছেন, ‘‘মোদী সরকারের অর্থনীতি আমজনতার জীবন এবং জীবিকা ধ্বংস করে চলেছে। কেবল নিজেদের সাগরেদ একদল একচেটিয়া ব্যবসায়ীর জন্য অতিমুনাফা নিশ্চিত করছে।’’
খাদ্যদ্রব্যের সঙ্গে সব জিনিসপত্রের দামের হিসেবের নিরিখে খুচরো বাজারে মূল্যবৃদ্ধির হার গত বছরের সেপ্টেম্বরে ছিল ৬ শতাংশ। তার তুলনায় হার খানিক কমলেও রিজার্ভ ব্যাঙ্কের লক্ষ্যমাত্রা ৪ শতাংশের চেয়ে ওপরেই রয়েছে। সবচেয়ে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে খাদ্যের বাজারে জিনিসের চড়া দাম।
জুনের হিসেবে দেখা গিয়েছে সবজির দাম বেড়েছে আগের বছরের তুলনায় ২৯.৩ শতাংশ হারে। মে-তে মূল্যবৃদ্ধির হার ছিল ২৭ শতাংশ। পরপর আট মাস সবজির দাম ১০ শতাংশের ওপরেই রয়েছে। একাংশের ব্যাখ্যা, তাপপ্রবাহ এবং বর্ষায় দেরির কারণে চড়েছে সবজির বাজার। আরেক অংশের মত, বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে একদল বড় মাপের ব্যবসায়ী। দাম বাড়ানোর জন্য দায়ী এরাই। প্রাকৃতিক সঙ্কটে ফলন মার খেলেও কালোবাজারি এবং অতিমুনাফার দৌড় বড় কারণ হয়েছে।
PRICE MODINOMICS YECHURY
মোদী-অর্থনীতি ছাড়তে হবে সরকারকে, মূল্যবৃদ্ধিতে মন্তব্য ইয়েচুরির
×
Comments :0