River Erosion

রায়ডাক নদীর ভাঙনে ভিটে মাটি হারা প্রায় ৬৫টি পরিবার, আতঙ্কে বাসিন্দারা

জেলা

রায়ডাক নদীর ভাঙনে বিপর্যস্ত তুফানগঞ্জ ১নং ব্লকের ধলপল ১নং গ্রাম পঞ্চায়েতের খাসপাড়া সূর্য মাঝির ঘাট এলাকা। ইতিমধ্যেই নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে শতাধিক বিঘা কৃষি জমি। প্রায় ৬৫টি পরিবারের বাড়িঘর সহ বসত ভিটে ইতিমধ্যেই চলে গেছে রায়ডাক নদীর গ্রাসে। বসতভিটা, কৃষি জমি হারিয়ে অন্যত্র পারি দিয়েছেন ভাঙ্গন কবলিত মানুষেরা রূপান্তরিত হয়েছেন এই সমস্ত পরিবারের প্রধানেরা অনেকেই পাড়ি দিয়েছেন ভিন রাজ্যে। বারবার সংশ্লিষ্ট এই এলাকায় পাথরের স্থায়ী বাস নির্মাণের দাবি জানালে জানাতে রীতিমতো ক্লান্ত হয়ে গেছেন এই এলাকার অসহায় মানুষেরা কিন্তু এই বাঁধ নির্মাণে কোনরকম উদ্যোগ গ্রহণ করেনি প্রশাসন। রীতিমতো ক্ষোভে ফুঁসছেন এই এলাকার বাসিন্দারা
কয়েক বছর আগেই রায়ডাক নদীর পার্শ্ববর্তী এই খাস পাড়া সূর্য মাঝিরঘাট এলাকায় বসবাস করতো প্রায় এক শতাধিক পরিবার। মূলত কৃষি কাজ করেই সংসার প্রতিপালিত হতো তাদের। সবকিছু ঠিকঠাক চললেও এই রায়ডাক নদীর ভাঙন নিয়ে আতঙ্ক ছিল তাদের মধ্যে। দীর্ঘ প্রায় ৮বছর আগে থেকে ধীরে ধীরে ভাঙতে শুরু করে এই রায়ডাক নদীর পাড়। ভাঙ্গন ভয়াবহ আকার ধারণ করার আগেই যাতে একটি স্থায়ী পাথরের বাঁধ নির্মাণ করে যাতে রক্ষা করা যায় এই এলাকাকে, এই লক্ষ্যেই বারবার প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এই খাস পাড়া এলাকার বাসিন্দারা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই এলাকায় এসে নদী তীরবর্তী এলাকা মাপ জোঁকও করে যান প্রশাসনিক কর্তা ব্যক্তিরা। কিন্তু এখানেই শেষ, বাঁধ নির্মাণের কোন উদ্যোগই গ্রহণ করেননি তারা। আর ধীরে ধীরে এই রায়ডাক নদীর ভাঙন এক ভয়াবহ আকার ধারণ করে। বিঘার পর বিঘা কৃষি জমি গ্রাস করার পাশাপাশি এলাকার মানুষের বাড়িঘর গ্রাস করে এই নদী। আজও এই ধারা অব্যাহত।
এই ভাঙন কবলিত এলাকার বাসিন্দা শ্রীমতি মজুমদার, দীনেশ দাস, মিনতি রায়, রঞ্জিত মজুমদার প্রমুখেরা জানান, ‘‘এই ভাঙ্গুন সমস্যার সমাধানের দাবি নিয়ে নিয়ম করে পঞ্চায়েত প্রধান, সেচ দপ্তরকে একাধিকবার জানিয়েছেন তারা, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। শুধু কৃষিজমি বা বাড়িঘরই নয়, তাদের এই গ্রামে ছিল সোলার সিস্টেমের ব্যবস্থা। যার মাধ্যমে কৃষি জমিতে সেচের কাজ করতেন তারা। নদী ভাঙতে ভাঙতে বর্তমানে তা চলে গিয়েছে নদীর ঠিক মাঝখানে। তাই কৃষি কাজের ক্ষেত্রেও বড় প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়েছেন তারা।’’
তাদের কথায় এই খাস পাড়ার অর্ধেকের বেশি অংশ চলে গিয়েছে নদী গর্ভে, যেটুকু অবশিষ্ট আছে তাও নদীর গ্রাসে চলে যাওয়ার অপেক্ষায় এই পরিস্থিতিতে খড়কুটো ধরে বাঁচার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। বর্তমানে ভাঙন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে এই এলাকার অধিকাংশ মানুষের মধ্যে কেউ আশ্রয় নিয়েছেন অন্যের বাড়িতে, আবার কেউ উঁচু রাস্তার ওপর টারপোলিন টাঙিয়ে বসবাস করছেন। দ্রুততার সাথে এই এলাকায় একটি স্থায়ী পাথরের বাঁধের এদিন দাবি জানান ভাঙন কবলিত এই অসহায় মানুষেরা।

Comments :0

Login to leave a comment