GAZA UN SCHOOL ATTACKED

গাজায় রাষ্ট্রসঙ্ঘের স্কুলে বোমা ইজরায়েলের, নিহত অন্তত ১৬

আন্তর্জাতিক

রাষ্ট্রসঙ্ঘ পরিচালিত স্কুলেই খোলা হয়েছিল ত্রাণ শিবির। ইজরায়েল বোমা ফেলল সেই শিবিরেই। গাজার আল জাওউনি স্কুলে ইজরায়েলের বোমায় নিহত হয়েছেন প্যালেস্তাইনের অন্তত ১৬ নাগরিক। আহত অন্তত ৫০। 
গাজা শহরের মধ্যভাগে আল নুসেইরত শিবিরে এভাবেই হামলা হয়েছে এর আগে। সেখানে ঠাঁই হারিয়ে বহু প্যালেস্তিনীয় পরিবার আশ্রয় নিয়েছিল আল জাওউনি স্কুলে। প্যালেস্তাইনে রাষ্ট্রসঙ্ঘের ত্রাণ বিষয়ক বিভাগ ইউনাইটেড নেশনস রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সি চালায় এই স্কুল।
স্থানীয়রা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, ত্রাণ শিবিরে সবাই নিজের নিজের কাজে ব্যস্ত ছিলেন। শিশুরা খেলছিল। ছুটে বেড়াচ্ছিল এদিকে ওদিকে। হঠাৎ বোমা পড়ে।
ত্রাণ শিবিরের বাসিন্দারে একরাশ ক্ষোভ দেখিয়ে বলেছেন, ‘‘শিশুদের কী দোষ ওদের ওপর রোজ এমন হামলা হচ্ছে কেন?
হামাসকে নিকেশ করার যুক্তি দেখিয়ে আন্তর্জাতিক জনমতকে অগ্রাহ্য করে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইজরায়েল। নিরীহ নাগরিকদের ওপর চলছে পরপর হামলা। বিশ্বময় নিন্দার ঝড় উঠলেও ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জানিয়ে দিয়েছেন আগ্রাসন এভাবেি চলবে। 
আমেরিকার সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানাচ্ছে যে তাদের ক্যামেরাতেও আহত শিশুদের নিয়ে হাসপাতালের দিকে ছুটতে থাকা বাসিন্দাদের ছবি ধরা পড়েছে। ইজরায়েলের সেনা এরপরও সেই বস্তাপচা যুক্তিই শুনিয়েছে যে সশস্ত্র উগ্রপন্থীরা ওই ত্রাণ শিবিরের এলাকায় আশ্রয় নিয়ে ছিল।
গাজা শহর নয়, পুরো গাজা ভূখণ্ডে কোনও বাসিন্দারই আর কোনও স্থায়ী আবাস নেই। প্রত্যেকে এক আশ্রয় থেকে আরেক আশ্রয়ে ছুটে চলেছে। তার ওপর খাদ্য নেই, নেই চিকিৎসা। শিশুদের খাদ্যের জোগান অন্তত যাতে হয়, তার চেষ্টায় ঘুরছেন বড়রা। মর্মান্তিক দৃশ্যপট গাজায়। রাষ্ট্রসঙ্ঘও পরিষ্কার জানিয়েছে পুরোদমে দুর্ভিক্ষ চলছে গাজায়। 
রাষ্ট্রসঙ্ঘের ত্রাণ বিষয়ক এই বিভাগের ডিরেক্টর জুলিয়েট টওমা জানিয়েছে গত ৭ অক্টোবর থেকে রাষ্ট্রসঙ্ঘের একটি পর একটি স্কুলে এভাবেই আক্রান্ত হয়েছে। বিভিন্ন স্কুলে চালানো ত্রাণ শিবিরের বাসিন্দা অন্তত ৫০০ নাগরিকের মৃত্যু হবেছে। তার মধ্যে রয়েছে শিশুরা।
এখনও পর্যন্ত মিশরের বিদেশ মন্ত্রক স্কুলে বোমা ফেলার কড়া নিন্দা করেছে। জর্ডনের বিদেশ মন্ত্রক বলেছে, ইজরায়েল যে আন্তর্জাতিক কোনও আইনকানুন কিছুই মানে না প্রমাণ হয়ে একের পর এক েমন হামলায়। 
বিভিন্ন অংশই সরব ইজরায়েলের প্রধান মদতদাতা আমেরিকা বরাবরের মতো চুপ থাকায়। হামাসের এক নেতা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, স্থায়ী যুদ্ধবিরতির জন্য পনবন্দিদের মুক্তির মতো বিভিন্ন দাবিতে আলোচনায় আমরা প্রস্তুত তা আগেই জানানো হয়েছে। ইজরায়েলে আলোচনার প্রতিটি পর্ব ভেস্তে দিতে এমন অমানবিক হামলা করে চলেছে। ইজরায়েল নিজের জেলে বন্দি রাখা নিরপরাধ প্যালেস্তিনীয় নাগরিকদের ছাড়তে নারাজ। 
বস্তুত নেতানিয়াহু নিজের দেশের জনতার ক্ষোভের মুখেই পড়ছেন নিয়মিত। শনিবারো রাজদানী তেল আভিভে হয়েছে বিক্ষোভ। পনবন্দিদের ছাড়াতে নেতানিয়াহু কী করছে, প্রশ্ন তুলেছেন বিক্ষোভকারীরা। এখনই নতুন নির্বাচন করার দাবিও উঠেছে বিক্ষোভ থেকে। যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সই করার দাবিও উঠেছে।

Comments :0

Login to leave a comment