রিজার্ভ নিজেই ভরসা দিয়েছে, ২ হাজার টাকার নোট চালু থাকবে বাজারে। কিন্তু জনতার আশঙ্কা কমছে না। মঙ্গলবার কলকাতায় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সামনে বিশাল লাইনে সেই উদ্বেগ ধরা পড়েছে ফের।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে যে পোস্ট অফিসের মাধ্যমেও সরাসরি রিজার্ভ ব্যাঙ্কে পাঠানো যাবে ২ হাজার টাকার নোট। সেই অর্থ জমাও পড়বে নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টে। টাকা জমা দেওয়ার সময়সীমা আপাতত শেষ হচ্ছে না।
নোট বাতিল পর্বে প্রধানমন্ত্রীর রাত আটটার ঘোষণায় আচমকা বাতিল হয়ে গিয়েছিল ১ হাজার ও ৫ শো টাকার নোট। লক্ষ্য ছিল, নগদে এই দুই নোটে জমা রয়েছে প্রচুর কালো টাকা। নোট বদলাতে এলেই সেই টাকা ধরা পড়ে যাবে। বাস্তবে বাজারে এই দুই নোট যত চালু ছিল তার প্রায় সবটাই জমা পড়ে যায়। নতুন করে আবার চালু হয় ২ হাজার টাকার নোট। অবশেষে সেই নোটও ফিরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত, যাকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত যে ব্যর্থ তার আরেকটি প্রমাণ ২ হাজার নোট বাতিল।
নভেম্বর গোড়াতেও এমন দৃশ্য দেখা গিয়েছিল বিভিন্ন শহরে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের দপ্তরে। মঙ্গলবার সকাল থেকে কলকাতায় দেখা যায় ঠাসাঠাসি লাইন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সামনে।
২ হাজার টাকার নোট যে বাজার থেকে ধীরে ধীরে তুলে নেওয়া হবে তা জানিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। ভিড় এড়াতে এখন যত আশ্বাসই দেওয়া হোক, ভুক্তভোগীরা বলছেন যে বাজারে ২ হাজার টাকায় লেনদেনে সমস্যা রয়েছে। কার্যত রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ছাড়া আর কেউ ২ হাজার টাকার নোট নিচ্ছে না।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক যদিও এর আগে জানিয়েছিল যে ৯৭ শতাংশ নোট জমা পড়ে গিয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও রয়েছে উদ্বেগ।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কর্মচারী আন্দোলনের কর্মীরা জানাচ্ছেন, কেবল রিজার্ভ ব্যাঙ্কে নোট হাতে হাতে বদলানোর ব্যবস্থা রয়েছে, অন্য বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কে নেই। তাই এমন ভিড়। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক শ্রীমন্ত মিত্র বলেছেন, ‘‘কর্মীর সংখ্যা এমনিতেই কম, ফলে সমস্যা রয়েছে। তার মধ্যেও চেষ্টা চলছে যত বেশি পরিষেবা দেওয়া যায়।’’
মিত্র জানিয়েছেন, কর্তৃপক্ষ গোড়ায় দু-তিনটি কাউন্টার খুলতে চাইলেও কর্মচারী ইউনিয়নের অনুরোধেই বাড়িয়ে দেওয়া হয় কাউন্টারের সংখ্যা। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কর্মীরা চেষ্টা করছেন যতটা সম্ভব সহায়তা দেওয়ার।
Comments :0