CEASEFIRE GAZA

যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন সীমান্তে

আন্তর্জাতিক

কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা সংঘর্ষের পরে যুদ্ধবিরতির কাছাকাছি পৌঁছেছে ইজরায়েল এবং হামাস। মঙ্গলবার এমনই আভাস মিলেছে হামাসের শীর্ষনেতা ইসমাইল হানিয়ের গলায়। 

৭ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন সংঘর্ষ। গোড়া থেকেই দুই তরফের মাঝে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে পৌঁছে গিয়েছিল কাতার। একমাসেরও বেশি সময় ধরে চলে বার্তা বিনিময়। গত কয়েকদিনের গতি পেয়েছে যুদ্ধবিরতি চালুর বিষয়টি। সংবাদসংস্থা রয়েটার্স জানাচ্ছে, মঙ্গলবার সকালে বিবৃতি দিয়ে এই খবর দিয়েছেন খোদ হানিয়ে। 

হানিয়ের বিবৃতিতে যুদ্ধবিরতি নিয়ে বিশদে কিছু বলা নেই। কিন্তু হামাসের অপর নেতা ইজ্জত আল-রশিককে উদ্ধৃতি করে কাতার ভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদ প্রতিষ্ঠান আল-জাজিরা জানাচ্ছে, ‘‘দুই পক্ষ নিজেদের হেপাজতে থাকা মহিলা এবং শিশুদের মুক্তি দিতে রাজি হয়েছে। প্যালেস্তাইনে আহতদের চিকিৎসার জন্য অন্য দেশে পাঠানোর অনুমতি দেওয়ার বিষয়েও কথা এগিয়েছে। কাতারের তরফে এই সংক্রান্ত খুঁটিনাটি তথ্য সংবাদমাধ্যমকে জানানো হবে’’

আল-রাশিক জানাচ্ছেন, ‘‘চেষ্টা চলছে যুদ্ধবিরতিতে সময়ের প্রশ্নে সহমত হওয়ার। যুদ্ধবিরতি চলাকালীন গোটা গাজা ভূখণ্ডে যাতে ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশেররাস্তাও খুলতে পারে। একইসঙ্গে গুরুতর আহত গাজাবাসীকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠানোর প্রশ্নেও সহমত হয়েছে দুই পক্ষ।’’

আল-রাশিকের দাবি, ‘‘কয়েক সপ্তাহ ধরে আলোচনা চললেও ইজরায়েলের তরফে দেরি করা হয়েছে।’’

ইজরায়েলি নিউজ ওয়েবসাইট ‘ওয়াল্লা নিউজ’ জানাচ্ছে, চুক্তি অনুযায়ী যুদ্ধবিরতি চালাকালীন গাজার আকাশে ইজরায়েলি যুদ্ধবিমান উড়তে পারবে না।

৭ অক্টোবর অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডকে ঘিরে থাকা ইজরায়েলি সীমানা প্রাচীর ভেঙে হামাস ইজরায়েলে হামলা চালায়। ইজরায়েলি প্রশাসনের দাবি, ঘটনায় ১২০০’র বেশি মানুষ প্রাণ হারায় এবং ২৪০জনকে যুদ্ধবন্দী বানিয়ে গাজায় নিয়ে চলে যায় হামাস। এর পালটা গাজার সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে লাগাতার বিমান হামলা চালানো শুরু করে ইজরায়েল। হাসপাতাল, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে রাষ্ট্রসংঘের ত্রাণ শিবির- বাদ যায়নি কিছুই। ইজরায়েলের হামলায় ১৩ হাজারের বেশি প্যালেস্তিনীয় প্রাণ হারিয়েছেন এখনও অবধি। গাজার স্বাস্থ্যমন্ত্রক নিহতদের নামের তালিকা প্রকাশ করে দাবি করেছে, নিহতদের মধ্যে ৫৬০০ শিশু এবং সাড়ে ৩ হাজার মহিলা রয়েছেন। 

৭ অক্টোবরের হামাসের হামলার আগে থকেই অবিরত প্যালেস্তাইনে দখলদারি চালিয়েছে ইজরায়েলের সেনা। হত্যাও করা হয়েছে প্যালেস্তাইনের নাগরিকদের। যুদ্ধবিরতি এবং রাষ্ট্রসংঘের প্রস্তাব অনুযায়ী দুই দেশের স্বীকৃতি প্রয়োগের দাবিতে সরব বিশ্ব জনমত।

গাজায় মৃত্যুমিছিল নিয়ে মুখ খুলেছেন রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুটেরেজ। তিনি সোমবার নিউ ইয়র্কে সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন, ‘‘২০১৭ সালে আমি রাষ্ট্রসংঘের দায়িত্ব নিয়েছি। সেই থেকে এখনও অবধি, বিশ্বের অন্য কোনও প্রান্তে গাজার মত সাধারণ মানুষের জীবনহানি ঘটেনি।’’

Comments :0

Login to leave a comment