যা জিজ্ঞাসা করেছিল, সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি। বেশিরভাগ প্রশ্নই বোগাস। আমার সময় নষ্ট হলো, তদন্তকারীদেরও সময় নষ্ট হলো। রাত ৯টা নাগাদ সিবিআই জেরা থেকে বেরিয়ে এমনই দাবি জানালেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জি।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিষেককে জেরা করেছে সিবিআই। এই তদন্তে ধৃত তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ বলেছিলেন তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপোর নাম নিতে জোর করছে সিবিআই। ঠিক এই মর্মেই ভাষণ দিয়েছিলেন শহীদ মিনারের জনসভায় অভিষেক নিজেই। সে কারণে হাইকোর্ট প্রয়োজনে অভিষেককে জেরার জন্য বলেছিল।
অভিষেক বলেছেন, এর আগেও শহীদ মিনার ময়দানে বলেছি যে অভিযোগ প্রমাণিত হলে ফাঁসির দড়ি পরে নেব। এখনও বলছি। তাঁর অভিযোগ, জনসংযোগ যাত্রায় বিপুল সাড়া পড়েছে বলে কর্মসূচি ভেস্তে দিতে সিবিআই দিয়ে ডেকে পাঠানো হয়েছে।
নিজাম প্যালেসের সামনেই অভিষেকের দীর্ঘ সাংবাদিক সম্মেলনে যে প্রশ্নের জবাব মেলেনি তা হলো, জেরা আটকাতে এত মরিয়া ছিলেন কেন। প্রথমে একদফায় সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে বিচারপতি বদলের নির্দেশ এল। তারপরও হাইকোর্ট জেরায় বাধা দিতে রাজি না হওয়ায় দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে যান অভিষেক। শুক্রবার ডিভিশন বেঞ্চ জরুরি ভিত্তিতে আবেদন শুনতে রাজি হয়নি। তারপরই জেরার নোটিশ পাঠায় সিবিআই।
উল্লেখ্য, এদিনই সিপিআই(এম)’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, তদন্তে সহযোগিতার জন্য ইডি, সিবিআই’র মতো কেন্দ্রীয় সংস্থা ডাকলে অবশ্যই যাবো।
অভিষেকের অভিযোগ, জেরায় নিয়োগ দুর্নীতির যে সব সাক্ষ্য হাজির করা হয় তাদের বেশিরভাগই পূর্ব মেদিনী পুর এবং মুর্শিদাবাদের। তৃণমূল সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী এবং এখন বিজেপি নেতা শুভেন্দুর নিয়ন্ত্রণে দুই জেলা। তৃণমূলের তরফে মুর্শিদাবাদের দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
অভিষেকের যুক্তি, সারদা বা নারদ থেকে তার আগে জ্ঞানেশ্বরী বা শান্তিনিকেতন থেকে নোবেল চুরির কিনারা করতে পারেনি সিবিআই। উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্তে ঢিলেমির জন্য সিবিআই এবং ইডি আদালতের কড়া সমালোচনার মুখে পড়েছে। লক্ষ্যণীয়, সারদা থেকে আজকের নিয়োগ দুর্নীতি বা কয়লা পাচার দুর্নীতির কিনারা করার দাবি অভিষেক তোলেননি। নিজেকে নির্দোষ দাবি করলেও ধৃত দলেরই নেতাদের নির্দোষ দাবি করতে পারেননি। ফলে বারবার ওঠা প্রশ্ন থেকেই গিয়েছে যে স্কুলের চাকরি বিক্রির এই বিপুল টাকা তৃণমূলের শীর্ষ নেতাদের মদত ছাড়া চলে কিভাবে।
Comments :0