AWAS JALPAIGURI

আবাসে নাম নেই, হেল্পডেস্ক হলেও কমেনি ক্ষোভ

জেলা

জলপাইগুড়ি সদর ব্লকে আবাস যোজনার ক্ষোভ জানাতে লাইন হেল্পডেস্কে।

আবাস যোজনা নিয়ে বাড়তে থাকা ক্ষোভকে প্রশমিত করতে অবশেষে জলপাইগুড়ি সদর বিডিও অফিসে হেল্পডেস্ক চালু হল। হেল্পডেস্ক চালু হতেই কাগজপত্র নিয়ে অভিযোগ জানাতে  অফিসে বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতের মানুষের লম্বা লাইন চোখে পড়ছে। 
বৃহস্পতিবার ছুটির দিন হলেও হেল্পডেস্ক চালু থাকবে বলে আশা করেছিলেন অনেকে। তবে তা হয়নি। হেল্পডেস্ক চালু না থাকায় বৃহস্পতিবার বহু মানুষ ফিরে গিয়েছেন সদর বিডিও দপ্তর থেকে।  আবাস নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের চা বাগান থেকে কৃষি বলয়েও ক্ষোভ রয়েছে। 
নতুন তালিকা সামনে আসতেই সদর ব্লকে আন্দোলন শুরু করেন করলাভ্যালি চা বাগানের শ্রমিকরা। দরিদ্র অনেকেরই নাম নেই তালিকায়। গত মঙ্গলবার ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে রাখেন এই বাগানের চা শ্রমিকরা। সদর ব্লকের বিডিও নিজে বাগানে গিয়ে সরজমিনে শ্রমিক আবাসের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেওয়ার পর অবরোধ তুলে নেন শ্রমিকরা।  তারপরেই বিডিও অফিসে হেল্প ডেস্ক খোলার সিদ্ধান্ত নেয়। 
অভিযোগ, আবাসের সমীক্ষা করতে এসেও অনকেরই বাড়িতে কেউ আসেননি। অরবিন্দ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ২০২২ সালের তালিকায় ১৯৩০ জনের নাম থাকলেও এবারে মাত্র ৯৭০ জনের নাম রয়েছে আবাসের তালিকায়। এই গ্রাম পঞ্চায়েতের করলাভ্যালি চা বাগানের সিপিআই(এম) পঞ্চায়েত সদস্যা রুবিনা মুন্ডা জানান যে এই এলাকার প্রায় ২৫০টি পরিবারের বেশিরভাগের ঘর মাটি, বাঁশ ও টিন দিয়ে তৈরি। অনেকেই প্লাস্টিক টাঙিয়ে বসবাস করেন। কিন্তু এ বছরের তালিকায় মাত্র ৩৩ জনের নাম রয়েছে। 
এই বাগানের শ্রমিক নেতা গোবিন ওঁরাও বলেন, বাগান শ্রমিকরা যদি সরকারি ঘর না পান তবে ঘর পাওয়ার যোগ্যতা কী তা সরকারকে জানাতে হবে। পরিস্থিতির পরিবর্তন না হলে আরও বড় লড়াইয়ের জন্য তৈরি হচ্ছে এই বাগানের শ্রমিকরা।

Comments :0

Login to leave a comment