CPI(M) PRESS MEET

শিলিগুড়ি কর্পোরেশনের সামনে বিক্ষোভের ডাক

জেলা

উন্নয়নের প্রশ্নে রাজ্য সরকার ও শিলিগুড়ি পৌর কর্পোরেশনের দ্বারা প্রতারিত হয়েছে সমগ্র শিলিগুড়িবাসী। এর বিরুদ্ধে সিপিআই(এম) দার্জিলিঙ জেলা কমিটির পক্ষে আগামী ২৯ নভেম্বর আপামর শিলিগুড়িবাসীদের সাথে নিয়ে শিলিগুড়ি পৌর কর্পোরেশনের সামনে অবস্থান ও বিক্ষোভ সমাবেশ হবে। মঙ্গলবার দুপুরে হিলকার্ট রোডে অনিল বিশ্বাস ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে একথা জানিয়ে সিপিআই(এম) নেতৃবৃন্দ বলেন, ২৯নভেম্বর অনিল বিশ্বাস ভবনের সামনে থেকে সমবেত হয়ে শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করে পৌর কর্পোরেশনের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ অবস্থান হবে। 
সিপিআই(এম) পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য জীবেশ সরকার বলেন, ‘‘শিলিগুড়ি কর্পোরেশন পৌর পরিষেবা দেবার পরিবর্তে, পরিষেবা হীনতায় ভুগছে। কর্পোরেশনের অব্যবস্থা বাড়ছে। তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তোলা প্রয়োজন। উন্নয়ন বলতে কিছুই নেই। দিনের পর দিন মানুষকে পানীয় জলের পরিবর্তে বিষাক্ত জল খাওয়ানো হয়েছে। অনুশোচনা নেই। মাঝেমধ্যেই জল সরবরাহ বন্ধ থাকছে। আইনশৃঙ্খলার গুরুতর অবনতি ঘটেছে। চুরি ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়েছে। মেয়েদের কোন সুরক্ষা নেই। দিনে দুপুরে ডাকাতি ঘটছে। গরীব মানুষের জন্য প্রকল্পগুলি মুখ থুবড়ে পড়েছে। বিধবা, বার্ধক্যভাতা কার্যত প্রায় বন্ধ। রাজ্য সরকারের কোন তদারকি নেই। রাজ্য সরকার নিজেই দুর্নীতিতে আপাদমস্তক ডুবে রয়েছে। শিলিগুড়ি পৌর কর্পোরেশনের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। কাউন্সিলারদের সম্পত্তি বৃদ্ধি হয়েছে বহুগুন। বামপন্থী কাউন্সিলাররা কর্পোরেশনের বোর্ড সভায় বারবার প্রশ্ন উত্থাপন করলেও অব্যবস্থার অবসান হচ্ছে না। দূর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে শহরবাসীদের। মানুষের দাবিতে আন্দোলন জারি থাকবে। ২৯তারিখে বড় ধরনের প্রতিবাদ কর্মসূচীর মাধ্যমে সমগ্র শিলিগুড়ি বাসীর পৌর পরিষেবা না পাওয়া সহ নানা বঞ্চনার বক্তব্য তুলে ধরা হবে। শহরের সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণে কর্মসূচিকে সর্বাত্মক সফল করার আহ্বান জানান তিনি। 
প্রাক্তন মেয়র নুরুল ইসলাম বলেন,‘‘নিজেদের ইচ্ছানুযায়ী পৌর বোর্ড পরিচালনা করছে। চলতি বছর পুজোর সময়ে শহরে উন্নয়নের কোন কাজই করা হয়নি। পৌর বোর্ডের ৭২কোটি টাকার ওপর বকেয়া রয়েছে। কন্ট্রাক্টররা জানিয়েছেন বকেয়া টাকা না পেলে কাজ হবে না। ফলে বামফ্রন্টের সময়ে যে উন্নয়নের কাজ হয়েছে সেই কাজগুলিই এখন হয়ে আছে। শুধু আমরা বিরোধীরাই নই, সরকারি দলের কাউন্সিলাররাও পৌর বোর্ডের কাজকর্মে বিরক্ত। ৪৬নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের কাউন্সিলার নিজে বলছেন মেয়র কোন কাজ করতে পারছেন না। মেয়রকে বলো কর্মসূচি বন্ধ করে দিয়ে কর্পোরেশনকে বলো কর্মসূচি করা হোক। পানীয় জল প্রতিদিনই কোন না কোন এলাকায় পৌঁছাচ্ছে না। এসজেডিএ’র নয়ছয় হয়ে যাওয়া ২০০ কোটি টাকা আজও উদ্ধার করা যায়নি। শিলিগুড়ি পৌরসভাকে সুন্দর করে সাজানো হলেও, শহরের কঙ্কালদশা বেরিয়ে পড়েছে। বর্তমান পৌর বোর্ডের সার্বিক ব্যর্থতা নিয়েই কর্পোরেশনের সামনে ২৯ নভেম্বর অবস্থান বিক্ষোভ চলবে। এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে ছিলেন সিপিআই(এম) দার্জিলিঙ জেলা সম্পাদক সমন পাঠক।

Comments :0

Login to leave a comment