কমিউনিস্ট সাংসদের স্পিকার হওয়া ঠেকাতে ফ্রান্সের সংসদে মধ্যপন্থী প্রার্থীকে সমর্থন জানাল সেদেশের উগ্র দক্ষিণপন্থীদের একটা অংশ।
বৃহস্পতিবার ফরাসি সংসদে স্পিকার নির্বাচনের ভোট হয়। সেদেশের বর্তমান রাষ্ট্রপতি ইম্যানুয়েল ম্যাক্রঁ’র মধ্যপন্থী জোটের তরফে প্রতিদ্বন্দিতা করেন ইয়ায়েল ব্রাউন পিভেট। তিনি অকাল নির্বাচনের আগেও স্পিকার পদে ছিলেন। বামপন্থী জোট নিউ পপুলার ফ্রন্টের তরফে স্পিকার পদে দাঁড় করানো হয় কমিউনিস্ট সাংসদ আন্দ্রে চাসেন’কে। তিন রাউন্ডের ভোটের পরে উগ্র দক্ষিণপন্থী সাংসদদের সমর্থনে চাসেন’কে হারান পিভেট।
চলতি মাসের প্রথমদিকে ফ্রান্সে সংসদীয় নির্বাচন হয়। ৫৭৭ আসনের সংসদে ১৮০টি আসন পেয়ে বৃহত্তম জোট হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে নিউ পপুলার ফ্রন্ট। উগ্র দক্ষিণপন্থীরা নেমে যায় তৃতীয় স্থানে।
স্পিকার নির্বাচনের প্রথম এবং দ্বিতীয় দফায় প্রয়োজনীয় ভোট পায়নি কোনও প্রার্থী। নির্বাচন গড়ায় তৃতীয় দফায়। এই দফায় যেই প্রার্থী সর্বোচ্চ ভোট পাবেন, তিনিই জিতবেন। সেই অঙ্কে জয়ী হন পিভেট।
অপরদিকে নির্বাচনের পরে পদত্যাগ করেছেন ফ্রান্সের মধ্যপন্থী প্রধানমন্ত্রী গ্যাব্রিয়েল অ্যাট্টাল। কিন্তু তাঁকে প্যারিস অলিম্পিক শেষ না হওয়া অবধি কাজ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ইম্যানুয়েল ম্যাঁক্র। ফরাসি সংবিধানে নির্দিষ্ট করা নেই, কতদিনের মধ্যে প্রেসিডেন্টকে প্রধানমন্ত্রী বেছে নিতে হবে। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ম্যাঁক্র নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন এড়িয়ে যাচ্ছেন।
অপরদিকে বামপন্থী জোটের তরফে ম্যাঁক্র’র উপর চাপ বাড়ানোর কৌশল নেওয়া হয়েছে। বামপন্থীদের বক্তব্য, সংসদে তাঁরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। তাই নিউ পপুলার ফ্রন্ট থেকেই পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী বাছতে হবে ম্যাঁক্র’কে। যদিও এই জোটের তরফে প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, সেই প্রশ্নে এখনও ঐক্যমতে পৌঁছননি তাঁরা।
ম্যাঁক্র’র উপর চাপ বজায় রাখতে বৃহস্পতিবার পথে নেমেছিলেন ফ্রান্সের বামপন্থী গণসংগঠনগুলি।
Comments :0