গার্ডেনরিচ, বিরাটির পর, এবার হুগলির নবগ্রাম। নির্মান কাজ চলার সময় হুগলির নবগ্রামে পাঁচিল ভেঙে মৃত ২ শ্রমিক। ঘটনায় জখম আরো এক শ্রমিক। নিহতেদ নাম শ্যামল দাস(৪৮) এবং শোনা শীল(৩৮)। জানা গেছে মৃত শ্যামল দাস প্রমোটার গনেশ দাসের দাদা। তিনিও শ্রমিকের কাজ করছিলেন। বেআইনিভাবে নির্মাণ করা হচ্ছিল বলে এলাকার মানুষ ক্ষোভ জানাচ্ছেন। ঘটনাস্থলে রয়েছে পুলিশ।
নবগ্রামে পঞ্চায়েতের নবচক্র এলাকায় একটি পুরোনো বাড়ি ভেঙে আবাসন তৈরির ভিতের কাজ চলছিল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে। হঠাৎ পাঁচিল ভেঙে পড়ে, পাঁচিল চাপা পড়ে তিন শ্রমিক। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় একজনের। জখম শ্রমিকদের উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আহত সোনা শীলের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রেফার করা হয় কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পথে রাস্তায় মেতে মৃত্যু হয়। আরেকজনের চিকিৎসা চলছে উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। তাঁর অবস্থাও আশঙ্কাজন খবর হাসপাতাল সূত্রে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ কোনো রকম নিরাপত্তা ছারাই কাজ চলছিল। রাস্তার পাশে কাজ চলছিল পুরোনো পাঁচিল গার্ড না করেই। স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ। ঘটনাস্থলে কানাইপুর ফাঁড়ির পুলিশ।
প্রমোটার গনেশ দাস দাবি করেন, বাঁশ দিয়ে পাঁচিলে সাপোর্ট দেওয়া ছিল। গত পনরো দিন ধরে কাজ চলছিল। এদিন সকালে কুড়ি জন শ্রমিক কাজ করছিলেন। দুর্ঘটনা ঘটে গেছে।
এই প্রসঙ্গে স্থানীয় সিপিআই(এম) নেতৃত্ব জানিয়েছেন, ‘‘নিয়ম না মেনেই নির্মান চলছিল। পঞ্চায়েত এলাকায় জি প্লাস ফোর আবাসনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। প্রধানের ওয়ার্ডেই এই কাজ হলে অন্য জায়গায় কি হচ্ছে’’।
নবগ্রাম অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি অপূর্ব মজুমদার দাবি করেন, আবাসন তৈরী হচ্ছিল জেলা পরিষদের অনুমতি নিয়ে। একটা মিটার ঘর ছিল পাঁচিলে সেটি ভেঙে পরে। স্থানীয়দের অভিযোগ, পুরনো বাড়ির পাশেই তৈরি হচ্ছিল বহুতল। দেওয়াল ঘেঁষে রাখা ছিল নির্মীয়মাণ বহুতলের ইমারতি সামগ্রী। ভাড়ি গাড়িতে নির্মান সামগ্রী নিয়ে আসায় রাস্তায় ধস নামছে। অনেকবার নিষেধ করা হলেও শোনেনি। প্রোমোটারের তত্ত্বাবধানেই চলছিল এই কাজ।
Wall collapsed
হুগলিতে নির্মীয়মাণ পাঁচিল ভেঙে মৃত দুই শ্রমিক, জখম ১
×
Comments :0