মণিপুরের মানুষ অন্যায়ের শিকার। বিজেপি এবং দেশের সরকার পাশে নেই। প্রধানমন্ত্রী নীরবতা বেছে নিয়েছেন। কিন্তু দেশের মানুষ রয়েছেন। অন্যায়ের বিহিত চাইবেন দেশবাসী।
রবিবার এই বার্তা দিয়ে মণিপুরের থৌবল থেকে ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’ শুরু করল কংগ্রেস। দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং দলের নেতা রাহুল গান্ধী শুরু করেছেন ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রার দ্বিতীয় পর্ব।
রাজধানী ইম্ফল থেকে ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’ শুরু করতে চেয়েছিল কংগ্রেস। মণিপুরের বিজেপি সরকার সেই প্রয়াস বাতিল করে দেয়। কংগ্রেসের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ বলেছেন, ‘‘কংগ্রেসের কর্মসূচিকে বাধা দিতে সব নোংরা কৌশলের আশ্রয় নিয়েছে বিজেপি। কিন্তু তাতে জনসমর্থন ঠেকানো যায়নি। ইম্ফলের প্যালেস গ্রাউন্ডের বদলে যাত্রার শুরুতে সমাবেশ হয়েছে খোঙজোমের ন্যায় ময়দান থেকে। জনসভা শুরু হওয়ার আগে ভরে গিয়েছে মাঠ।’’
এর আগে দেশের দক্ষিণ থেকে উত্তরে হয়েছে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’। রাহুল নিজেও ভাষণে তার উল্লেখ করে বলেছেন, ‘মানুষের সাড়া মিলেছে সব অংশ থেকে, সব এলাকা থেকে। বহু মানুষ চেয়েছেন এবার দেশের পূর্ব-পশ্চিম বরাবর যাত্রা হোক। তাই মণিপুর থেকে মহারাষ্ট্রের মুম্মাই পর্যন্ত ৬৭০০ কিলোমিটার রাস্তা হাঁটব আমরা।’’
লোকসভা নির্বাচনের আগে পদযাত্রার কর্মসূচিতে জনসংযোগ দৃঢ় করতে চাইছে কংগ্রেস। দলের মূল্যায়ন হলো, ভারত জোড়ো যাত্রার সময়ে বেকারি, মূল্যবৃদ্ধির মতো জনজীবনের বিষয়গুলির গুরুত্ব বেড়েছে দেশের রাজনীতিতে। তেলেঙ্গানায় একেবারে তলানি থেকে ফের সরকার গড়ার জায়গায় উঠে আসার পিছনেও এই কর্মসূচি ভূমিকা নিয়েছে। তার আগে কর্ণাটকে তুমুল ধর্মীয় মেরুকরণের পরিবেশে জনজীবনের প্রতিদিনের সমস্যাকে জনমনে হাজির করা গিয়েছে।
দক্ষিণে কর্ণাটক এবং তেলেঙ্গানায় জয়ী হলেও উত্তর ভারতে হিন্দি বলয়ে রাজস্থান, মধ্য প্রদেশ এবং ছত্তিশগড়ে পরাজিত হয়েছে কংগ্রেস।
মণিপুরের প্রসঙ্গ তুলে রাহুল বলেছেন, ‘‘টানা হিংসা দেখেছে মণিপুর। তারপরও প্রধানমন্ত্রী সংসদে জবাবদিহি করেননি। হয়ত তিনি বা বিজেপি এবং আরএসএস মণিপুরকে দেশের অংশ মনে করে না। এখানকার মানুষের যন্ত্রণার শরিক হতে চাইছে না। হিংসার আট মাস পরও রাজ্যে এলেন না কেন প্রধানমন্ত্রী। রাজ্যের সাংসদ, বিধায়কদের নিয়ে আলোচনায় বসলেব না কেন?’’
খাড়গে জাতীয় রাজনীতির চালচিত্রে জোর দেন ভাষণে। তিনি বলেছেন, ‘‘যুবদের রোজগার, মূল্যবৃদ্ধি থেকে রেহাই, আয়ের বিস্তর ফারাক কমানোর জন্য ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’। জওহরলাল নেহরুর সময়ে সরকার কারখানা তৈরি করেছিল। এরা সেসব বেচে দিচ্ছে। এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায় চান দেশবাসী।’’
Comments :0