Ration Card Parliament

সুযোগ থাকলেও দেওয়া হয়নি ৬৮ লক্ষ রেশন কার্ড, সংসদে কেন্দ্র

জাতীয়

শেষ জনগণনা হয়েছিল ২০১১-তে। কেবল তারই হিসেবে দেওয়া যেতে পারে খাদ্য সুরক্ষার আরও ৬৮ লক্ষ রেশন কার্ড। 
বুধবার সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে এই তথ্য দিয়েছে সরকার। কেন্দ্রীয় ক্রেতা, খাদ্য ও গণবন্টন মন্ত্রক জানাচ্ছে যে ২০১১’র জনগণনা অনুযায়ী দেশে ৮১ কোটি ৩৭ লক্ষ রেশন কার্ড দেওয়া যেতে পারে জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা মিশনে। এই প্রকল্পেই ভরতুকিতে দেওয়া হয় খাদ্যশস্য। 
রাষ্ট্রমন্ত্রী নিমুবেন জয়ন্তীবেন বামভানিয়া বলেছেন, ‘‘কেন্দ্রের হিসেব অনুযায়ী এখন খাদ্য সুরক্ষা মিশনে ভরতুকিতে রেশন পাচ্ছেন এমন উপভোক্তার সংখ্যা ৮০ কোটি ৬৯ লক্ষ। ফলে ২০১১-র হিসেবেই আরও অন্তত ৬৮ লক্ষ কার্ড দেওয়া যায়।’’ 
কেন্দ্রের মন্ত্রী যদিও কার্ড না দেওয়ার জন্য রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির প্রশাসনকেই দায়ী করেছে। বামভানিয়া বলেছেন, ‘‘উপভোক্তা কারা হবেন, সরকারি বিধি মিলিয়ে তা চিহ্নিত করার দায়িত্ব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের।’’ 
ক্ষুধার সূচকে ভারত বছর বছর নিচে নামছে। বিশেষ করে কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বিজেপি সরকার আসীন হওয়ার পর বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে ভারতের অবস্থান পড়তে দেখা গিয়েছে। কেন্দ্র যদিও এই সূচককে যথার্থ বলে মানতে নারাজ। কিন্তু বিরোধীরা বারবারই খাদ্যসঙ্কটের বিবিধ ঘটনায় সরব হয়েছেন। 
তার মধ্যেও পশ্চিমবঙ্গের মতো বিভিন্ন রাজ্যে বাদ দেওয়া হয়েছে উপভোক্তাদের নাম। বায়োমেট্রিক না মেলার ছুতোতেও নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।  
দেশে প্রতি দশ বছর অন্তর জনগণনা হয়ে থাকে। কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদীর মেয়াদেই প্রথম, ২০২১-র জনগণনা করা হয়নি। কোভিডের কারণ দেখিয়ে জনগণনা বন্ধ করে কেন্দ্র। পরে সব স্বাভাবিক হলেও জনগণনা আর হয়নি। সেক্ষেত্রে জনসংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি উপভোক্তা বাড়ার সম্ভাবনা ছিল।
কেন্দ্রে কংগ্রেসের মেয়াদে পাশ জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইন অনুযায়ী শহরাঞ্চলে ৫০ শতাংশ এবং গ্রামাঞ্চলে জনসংখ্যার ৭৫ শতাংশ খাদ্য সুরক্ষা আইনের আওতায় আনার কথা। সেই বিধি অনুযায়ী ২০১১-র জনগণনার হিসেবে ৮১.৩ কোটি উপভোক্তা এই সুরক্ষার জন্য চিহ্নিত করা হয়। 
অপর একটি প্রশ্নে মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী জানিয়েছেন যে রেশন ডিলারদের ‘মার্জিন’ বা পণ্য বিক্রি বাবদ লাভ বাড়ানোর পরিকল্পনা কেন্দ্রের নেই।  
 

Comments :0

Login to leave a comment