আপাতত সরে গিয়েছে ইজরায়েলের সেনা। দক্ষিণ গাজার কিছু এলাকায় ফিরছেন বাসিন্দারা। দেখছেন শহর ধুলোয় মিশে গিয়েছে। ভাঙাচোরা বাড়িঘর, বসতি, স্কুল। বাসিন্দারা নিজের ভিটেয় ফির বলছেন, আর কোনও শহর নেই। পুরোটাই এখন জঞ্জালের স্তূপ।
দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের শরণার্থী শিবিরেও বোমা ফেলেছে ইজরায়েল। ভেঙে দেওয়া হয়েছে জনসাধারণের আবাস। উত্তর গাজায়, ৭ অক্টোবরের পর থেকেই লাগাতার লক্ষ্য ছিল হাসপাতাল। ইজরায়েল বলেছিল, হাসপাতালের নিচে সুড়ঙ্গে লুকিয়ে রয়েছে হামাসের লোক। সেনার দখলদারিতে যদিও মৃত্যু হয়েছে রোগীদের, এমনকি সদ্যোজাত শিশুদের।
খান ইউনিসেরও চেহারা বিবর্ণ, শোকার্ত। কেননা ধ্বংসস্তূপ খুঁড়ে সমানে বের হচ্ছে দেহ। গাজা ভূখণ্ডে জনসংখ্যা প্রায় ২৩ লক্ষ। ৪ লক্ষ বাসিন্দা ছিলেন খান ইউনিসেই। প্রথম দফায় হামলা হয় গাজার উত্তর অংশে। তখন বাসিন্দাদের বলা হয় দক্ষিণের দিকে সরে যেতে। পরিবার নিয়ে চলে যাওয়ার পথেও গুলিবিদ্ধ হতে হয়েছে। এখন দক্ষিণ অংশে ভিড় স্বাভাবিকের তুলনাতেও বেশি।
ইজরায়েল সরকারি ভাবেই জানিয়েছে খান ইউনিসের মাটি থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে সেনা। তবে আরও দক্ষিণে, মিশর-প্যালেস্তাইন সীমান্তে রাফায় সেনা ঢুকবে না, একথা বলা যাচ্ছে না।
ইজরায়েলের সেনা প্রধান নিজেই জানিয়েছেন যে গাজা ভূখণ্ডে ‘অপারেশন’ মোটেই শেষ হয়নি। আর ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেছেন, নতুন সামরিক তৎপরতার প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়েছে।
ইজরায়েল প্যালেস্তাইব সংঘাতের পরিধি বেড়েছে গত প্রায় ৬ মাসে। সম্প্রতি সিরিয়ার দামাস্কাসে ইরানের দূতাবাসে বোমা ফেলে ইজরায়েল। পালটা হানার সতর্কতা জারি করে রেখেছে ইরান। বিশ্ব জনমত লাগাতার ইজরায়েলের বিরুদ্ধে। এমনকি রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদেও ইজরায়েলের পক্ষ না নিয়ে নীরব থাকতে হয়েছে আমেরিকাকে। পাশ হয়েছে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব। তার ওপর ইজরায়েলেই তীব্র বিক্ষোভের মুখে প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।
ISRAEL KHAN YOUNIS
খান ইউনিস থেকে সরেছে ইজরায়েলের সেনা
×
Comments :0