Sonamuni Murmu

বঞ্চনার অবসান চাইছে ঝাড়গ্রাম, শুনলেন সোনামণি

রাজ্য

গ্রামের গৃহবধূ ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী। যে পরিবারের গৃহবধূ সেই পরিবারের সদস্যরা কয়েক পুরুষ ধরে সিপিআই(এম) পার্টির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এমন পরিবারের গৃহবধূ সোনামণি মুর্মু ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী। রবিবার ছুটির দিন। সকাল বেলায় গুটিগুটি পায়ে সোনামনিদের বাড়ি এসে হাজির অমিতা সিং, পূর্ণিমা মান্ডি, দীপালি সিং, শকুন্তলা পাত্র, গঙ্গারানী মানকি, মটুক মানকিরা। ওদেরই দায়িত্ব প্রার্থীকে নিয়ে মানুষে ঘরে ঘরে যাওয়ার। তাই সকাল সকাল প্রার্থীর বাড়িতে এসে বেরিয়ে পড়েছে ওরা প্রার্থীকে নিয়ে। তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রী পেরিয়েছে। কিন্তু প্রচারে ঘাটতি নেই ওদের। সকাল থেকে আদিবাসী অধ্যুষিত সাতড়া, লিপানিয়া, কাড়রু চোমড়া যোগী রাজগ্রাম মহুলবনি, জোভি, প্রভৃতি এলাকায় মানুষের ঘরে ঘরে চলল প্রচার। দুপুরে খাবারের জন্য সামান্য কিছুক্ষণ বিশ্রাম তারপরে আবার প্রচার। গ্রামে ঢুকতেই আদিবাসী প্রথায় বাড়ির মহিলারা সোনামণিকে বরণ করে নিচ্ছেন। সোনামনি তো তাদের ঘরের মেয়ে। তাই একেবারে আটপৌড়ে কথায় বিভিন্ন অভাব অভিযোগ বলছেন তাঁর কাছে। সোনামণি স্বপ্রতিভ হয়ে শুনছেন, নিজের মতামত দিচ্ছেন। জয়ের ব্যাপারে অত্যন্ত আশাবাদী সোনামনি। তার কথায় প্রথমে যখন নাম ঘোষণা হয়েছিল তখন সংশয় ছিল প্রচারে কেমন সাড়া পাবো। কিন্তু প্রচারে নেমে বুঝতে পারলাম এই অঞ্চলের আদিবাসী মানুষের মনে গেঁথে আছে লাল ঝান্ডা। তাই তারা বলছে বামফ্রন্টকেই চাই।
ঝাড়গ্রাম লোকসভার মধ্যেই পড়ে বান্দোয়ান বিধানসভা। এই অঞ্চলের মানুষ দেখেছেন সাংসদ হিসেবে বিজেপির সাংসদকে এবং বিধানসভায় পেয়েছেন তৃণমূলের বিধায়ক। দুই ক্ষেত্রেই মানুষের ক্ষোভ রয়েছে চরমে। রাজ্যের শাসক দল যখন বলে জঙ্গলমহল হাসছে তখন জঙ্গলমহল ঘুরে বেড়ালে দেখা যাবে বহু যুবক পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে পাড়ি দিয়েছে ভিন রাজ্যে। কাজ করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় প্রাণও গেছে এই অঞ্চলের যুবকের। কৃষকের ফসলের দাম নেই। বামফ্রন্ট সরকারের আমলে তৈরি করা হয়েছিল হিমঘর। সে হিমঘর বন্ধ হয়ে আছে। অথচ এই জঙ্গলমহলেই এক সময় মানুষ দেখেছে অনুন্নয়নের গল্প বলে মাওবাদীরা কিভাবে রবীন্দ্রনাথ কর, আনন্দময়ী কর প্রমুখো সিপিআই(এম) নেতা কর্মীদের নির্বিচারে খুন করেছে। তবুও লাল ঝান্ডা শেষ হয়নি, শেষ হবেনা সেটা প্রচারে বেরিয়ে সোনামণি মুর্মুর কথাতেই স্পষ্ট। প্রচার করতে করতে সে জানিয়ে দিল এই অঞ্চলের মানুষের রক্তে মিশে আছে লাল পতাকা। মানুষ চাইছেন বঞ্চনার অবসান। 
 

Comments :0

Login to leave a comment