দু’মাস আগে অনুরোধ জানিয়েছিল দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপ। এবার সেনা সরানোর সময়সীমাও দিয়ে দিল ভারতকে। ১৫ মার্চের মধ্যে ভারতকে মোতায়েন সব সেনা সরিয়ে নিতে বলল মালদ্বীপ।
মালদ্বীপে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি অনুযায়ী ৮৮ জন সেনাকর্মী মোতায়েন রয়েছেন। ড্রাগ চোরাচালান থেকে সমুদ্রপথে অবৈধ চলাচল নজরদারির বিবিধ কাজে বাহিনী যুক্ত। মালদ্বীপে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর, গত নভেম্বরে সেনা সরানোর বার্তা দিয়েছিল মালদ্বীপ।
রালদ্বীপের তরফে সরকারি ভাবে ভারতকে কী বলা হয়েছে তা যদিও অস্পষ্ট। ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকে এক আধিকারিকের বক্তব্য প্রকাশ করা হয়েছে সংবাদসংস্থায়। রাষ্ট্রপতি মহম্মদ মুইজ্জু এবং তাঁর প্রশাসনের নীতি মেনে সেনা সরানোর পর্ব কার্যকর করতে বলা হয়েছে।
দু’মাস আগে রাষ্ট্রপতি নিজে সেনা সরানোর কথা বলার পর মালদ্বীপের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের আলোচনা গোষ্ঠী গড়ে ভারত। মালদ্বীপে ভারতীয় হাইকমিশনার মুনু মাহওয়ারকে রেখে কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা চলছিল।
ভারত এবং মালদ্বীপের সম্পর্কে ঘিরে প্রশ্ন ওঠে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর লাক্ষাদ্বীপ সফরের পর। নরেন্দ্র মোদী লাক্ষাদ্বীপকে দ্বীপ পর্যটনের কেন্দ্র গড়ার জন্য প্রচারও করেছিলেন। ছবি পোস্ট করেছিলেন সোশাল মিডিয়ায়। তা নিয়ে আবার মালদ্বীপের তিন প্রতিমন্ত্রী বিরূপ মন্তব্য করেন। ভারতের তীব্র আপত্তিতে তিন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় মুইজ্জুর দল।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মুইজ্জু বিদেশি সেনা, বিশে করে ভারতের সেনা মোতায়েন করার চুক্তির বিপক্ষেই প্রচার করেছিলেন। সম্প্রতি চীন সফরে যান তিনি। সেখানেই সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নে মুইজ্জু মন্তব্য করেন যে আয়তনে মালদ্বীপ ছোট। কিন্তু সার্বভৌম এবং স্বাধীন রাষ্ট্র। আয়তনে ছোট বলে অন্য কারও ধমক সয়ে চলতে বাধ্য নয়।
Comments :0