Uttarkhand Rescue 14 days

‘গলার স্বরে জোর নেই আর’, উদ্ধার কিভাবে অস্পষ্ট ১৪ দিন পরও

জাতীয়

ছবি সোশাল মিডিয়া থেকে।

এতটুকু এগোয়নি কাজ। আরও একটি চব্বিশ ঘন্টার পর এমনই স্বীকারোক্তি উদ্ধারকারী দলের বিশেষজ্ঞদের। শনিবার রাতে জটিলতা আরও বেড়েছে। কারণ উদ্ধার ঠিক কোন পথে বলতে পারছেন না কেউ। 
রবিবার ভোরে পুরো দু’সপ্তাহ হবে। ১২ তারিখ ভোরেই ধস নেমে উত্তরকাশীর সিল্কিওয়ারা সুড়ঙ্গে আটকে যান ৪১ শ্রমিক। নিজেরাই নিজেদের ভরসা দিয়েছেন। একের পর এক আশা ভেঙে গিয়েছে। শ্রমিকদের পরিজন, উদ্ধারকাজে যুক্ত শ্রমিক থেকে আধিকারিকদের গলায় বিষাদের ছোঁয়া শনিবার স্পষ্ট। গলার স্বরে জোর নেই আর, বলছেন পরিজনরা। বিষাদ ছুঁয়ে রয়েছে দেশবাসীকেও। 


কেবল একজনকে চাঙ্গা দেখিয়েছে এদিন! তিনি এবার তেজস যুদ্ধবিমানে চেপেছেন। সামরিক পোশাকে প্রধানমন্ত্রীর ছবি ঢালাও ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সংবাদমাধ্যমে।
শনিবার জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা প্রাধিকরণ বা এনডিএমএ জানিয়েছে ধস কাটার অগার মেশিনটি একেবারেই বিকল তা দিয়ে আর কোনও কাজ হওয়া সম্ভবই নয়। এবার বলা হয়েছে, যন্ত্র নয়, হাতে করে শ্রমিকরা ধস কাটার কাজ করবেন কিনা দেখা হচ্ছে। 
দিনকয়েক আগে থেকেই আরেকটি সম্ভাবনা জানানো হচ্ছিল। এদিন তা ফের বলেছেন এনডিএমএ’র সদস্য সৈয়দ আতা হাসনাইন। তিনি বলেছেন, ‘‘উদ্ধারে সময় লাগবে। সুড়ঙ্গের ছাদের ওপর থেকে রাস্তা কাটার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। তবে তা শুরু করতেও ২৪ থেকে ৩৬ ঘন্টা লাগবে।’’ 
তা’হলে কী মাটির সমান্তরালে ধস কেটে পাইপ বসিয়ে শ্রমিদের উদ্ধারের পরিকল্পনা বাতিল? শনিবার অন্তত এ প্রশ্নের স্পষ্ট জবাব মেলেনি। আগেই যদিও জানানো হয়েছে এই পথে শ্রমিকদের কাছে পৌঁছাতে আরও ১২ মিটার ধস খুঁড়ে বসাতে হবে পাইপ। 
মাটির ওপর থেকে, ধসের পিছনে সুড়ঙ্গের অংশে, উদ্ধারের পাইপ পৌঁছানোর কাজও কঠিন। কারণ পাহাড়ের মাটি কেটে সুড়ঙ্গের ছাদে আসতেই ৮৬ মিটার খুঁড়তে হবে। তারপর ছাদ ফুঁড়ে পাইপ ঢোনাকোর প্রশ্ন। 
আন্তর্জাতিক সুড়ঙ্গবিদ আর্নল্ড ডিক্সও এদিন ওপর থেকে খননের পাশাপাশি হাতে করে ধস সরানোর বিকল্প খোলা রেখেছেন। 
তীর্থ পর্যটনের চারধাম প্রকল্পের সুড়ঙ্গে কাজ করছিলেন শ্রমিকরা। হিমালয়ের ভূ-প্রকৃতিতে ভারী পরিকাঠামোর কাজে নামার আগে প্রয়োজনীয় সমীক্ষা না করার অভিযোগ রয়েছে বিভিন্ন অংশেরই।  
এদিন উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন পরিজনদের সঙ্গে কথা বলার জন্য বিএসএনএল’র হ্যান্ডসেট পাঠানো হয়েছে সুড়ঙ্গে বন্দি শ্রমিকদের। 

Comments :0

Login to leave a comment