শুভঙ্কর দাস
বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে দুরন্ত লড়েও হার দক্ষিণ আফ্রিকার। ক্রিকেটের নন্দনকাননে ৩ উইকেটে জিতে বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছল অস্ট্রেলিয়া। ইডেনের পিচে বোলিং জাদু দেখাল প্রোটিয়ারাও।
কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। শুরুটা একদমই ভালো হয়নি প্রোটিয়াদের। কুইন্টন ডি কক ৩ রানে এবং অধিনায়ক বাভুমা ০ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান।
অন্যদিকে, ভ্যান ডার ডাসেন করেন ৬ রান এবং মার্করামের সংগ্রহে ১০ রান। বৃষ্টির জন্য সাময়িক সময় খেলা বন্ধ থাকার পর হাল ধরেন ডেভিড মিলার এবং ক্লাসেন। শতরান করেন মিলার, তাঁর সংগ্রহে ১০১ রান এবং ক্লাসেন করেন ৪৭ রান।
এই দুজনের লড়াকু ইনিংসের সুবাদেই অনেকটা ভালো জায়গায় পৌঁছয় দক্ষিণ আফ্রিকা। কারণ, টেল-এন্ডাররাও খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। শেষপর্যন্ত, ২১২ রানে শেষ হয় তাঁদের ইনিংস। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৩টি করে উইকেট পান মিচেল স্টার্ক এবং অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। সেইসঙ্গে ২টি করে উইকেট পান হ্যাজেলউড এবং ট্রেভিস হেড।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই করে অস্ট্রেলিয়া। ট্রেভিস হেড করেন ৬২ রান এবং ডেভিড ওয়ার্নারের নামের পাশে এদিন ছিল ২৯ রান। মিচেল মার্শ ফিরে যান ০ রানে। যখন মনে হচ্ছিল ম্যাচ খুব সহজেই বের করে নেবে অজিরা, তখনই জ্বলে ওঠে প্রোটিয়াদের বোলিং লাইন-আপ। দুর্দান্ত লড়াই দেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ২টি উইকেট নেন শামসি। গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে ১ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরান তিনি এবং ল্যাবুসাংও তাঁর বলেই এলবিডব্লিউ হন।
দক্ষিণ আফ্রিকার খেলা দেখে কখনোই মনে হয়নি যে তাঁরা খেলা থেকে হারিয়ে গেছে। লড়াই করেছে গোটা দল। তারফলে ম্যাচ গড়ায় ৪৭ ওভার অবধি। কিন্তু বিশ্বকাপের মঞ্চে অজিদের গেমপ্ল্যান বরাবর ক্লিক করে যায়, এক্ষেত্রেও তাই হল। স্টিভ স্মিথ এদিন করেন ৩০ রান। সেইসঙ্গে, জশ ইংলিশের ২৮ রানও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায় এই ম্যাচে।
শেষপর্যন্ত, ১৬ বল বাকি থাকতেই জয় ছিনিয়ে নেয় ক্যাঙ্গারু বাহিনী। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ২টি করে উইকেট পান গেরাল্ড এবং শামসি। অন্যদিকে ১টি করে উইকেট পান কাগিসো রাবাডা, মার্করাম এবং কেশব মহারাজ।
অস্ট্রেলিয়া জয়ী ৩ উইকেটে এবং ম্যাচের সেরা ট্রেভিস হেড।
Comments :0