অনন্ত সাঁতরা: সিঙ্গুর
প্রচন্ড দাবদাহ। আবার বৃষ্টি হলে তাও হিসেবছাড়া। ফলে গ্রীষ্মকালীন ফলন্ত ফুলকপি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সিঙ্গুর ব্লকের মির্জাপুর-বাঁকিপুর পঞ্চায়েতের মির্জাপুর মৌজার মাঠে প্রায় ৪০ বিঘা জমিতে ফুলকপির বেশিরভাগই নষ্ট হচ্ছে।
বেশিরভাগ জমিতেই ফুলকপির গুটি আসার পর তা পচে গিয়ে নষ্ট হচ্ছে। আবার অতিরিক্ত বৃষ্টিতে অনেক গাছের শিকড় পচে যাচ্ছে। গরমে আবার জমিতে গাছ ঝলসে মরে যাচ্ছে। ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকরা।
মির্জাপুর গ্রামের বাসিন্দা দেব কুমার কোলে জানালেন, এই সময়ের ফুলকপি চাষে সার-খউল, কীটনাশক ও সেচের খরচ অনেক বেশি হয়। কিন্তু এবার অত্যধিক তাপ আর বৃষ্টির ফলে চাষের ক্ষতি হয়ে গেল। এখানকার গোপীনাথ কোলের জমিতে বেশিরভাগ কপির গুটি পচে গেছে।
এই মাঠের সবচেয়ে নজরকাড়া সবজি হলো ফুলকপি। এখানে বছরে তিনবার ফুলকপির চাষ হয়। যা প্রায় নজিরবিহীন। এই চাষের জন্য কৃষকরা প্রচুর মেহনত করেন। চাষও খুবই ব্যয়বহুল। কিন্তু বিভিন্ন সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ফলন। লোকসানের মুখে পড়তে হয় বার বার। আর ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা কোন ক্ষতিপূরণ পায় না।
প্রশাসনের এদিকে নজর দেবে না কেন, এই ক্ষোভ রয়েছে এলাকায়।
শীতের শুরুতে জলদি ফুলকপি শারদ উৎসবের সময় ওঠে। এই কপি চারা তৈরি করতে বর্ষার সময়ে পলি শেড করে বীজতলা করেন কৃষকরা । এরপর পৌষ - মাঘ মাসে শীতকালীন কপি এবং বৈশাখ - জৈষ্ঠ মাসে গ্রীষ্মকালীন কপি জন্মায়। কপি চাষে নিবিড় শ্রম লাগে। সে তুলনায় কৃষকরা কপি চাষ তেমন লাভ পান না। এছাড়া এই মাঠ জুড়ে পটল, বরবটি, ঢ্যাঁড়শ, বেগুন, কচু সহ বিভিন্ন ফসলের চাষ হয়। বলা যায়, এই মাঠ সবজি ভান্ডার । সারা বছর ধরে বিভিন্ন ধরনের এই সব সবজি ফসল ফড়েরা মাঠে এসে কিনে নিয়ে যায়। বেশিরভাগ সবজি শেওড়াফুলি হাট মারফত জেলার বিভিন্ন বাজার ও শহরাঞ্চলে চলে যায়। এবার প্রচন্ড দাবদাহের কারণে এবং রেমাল ঘূর্ণিঝড় সহ বেশ কয়েক বারের বৃষ্টির দরুণ সব ধরনের ফসলের চাষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানালেন কৃষকরা।
CAULIFLOWER SINGUR
গরম আর বৃষ্টি, গ্রীষ্মের ফুলকপি নষ্ট হচ্ছে সিঙ্গুরে
×
Comments :0