দীপশুভ্র সান্যাল - জলপাইগুড়ি
চা বাগান শ্রমিকরা আবাস যোজনা থেকে বঞ্চিত কেন? জবাব চেয়ে মঙ্গলবার দুপুরে করলা ভ্যালি চা বাগানের শতাধিক শ্রমিক আসাম মোড় এলাকায় জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। চা বাগান মজদুর ইউনিয়নের এই অবোধের জেরে জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি সহ উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে সড়ক পথে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। দূরপাল্লার বাস এবং পণ্য পরিবহণকারী ট্রাকের লম্বা লাইন পরে যায় জাতীয় সড়কে।
মহিলা চা শ্রমিক কাজল নায়েক জানান, ‘আমাদের কেন আবাস যোজনা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে সেটাই আমরা জানতে চাই রাজ্য সরকারের কাছে।’ বিক্ষোভকারীরা বলেন, প্লাস্টিক টাঙিয়ে দিন কাটাচ্ছেন চা শ্রমিকরা। অথচ তাঁদের নাম নেই আবাস যোজনার ঘরের তালিকায়।
সিআইটিইউ নেতা শুভাশিস সরকার বলেন, এই দাবিতে আগেই বিডিও অফিসে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছিল। কারণ করলা ভ্যালি চা বাগানের ২৫০ টি শ্রমিক আবাস বাসযোগ্য নয়। অথচ সেই চা বাগানেই মাত্র ৩৩ জনকে আবাসের ঘর দিয়ে দায় সারতে চাইছে রাজ্যে সরকার।
সিপিআই(এম)’র স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য রুবিনা মুণ্ডা বলেন, চা শ্রমিকদের ২৫০ টাকা মজুরি। তার মধ্যে তাঁরা কি করে সংসার চালাবেন? কিভাবে ঘর বানাবেন? অন্যান্য এলাকায় বহু ঘর দেওয়া হলেও বাগানে সিপিআই(এম)’র পঞ্চায়েত নির্বাচিত হওয়ায় ৩০০ শ্রমিক পরিবারের মধ্যে মাত্র ৩৩টা ঘর এসেছে। অথচ অন্যান্য বুথে প্রয়োজনের অতিরিক্ত ঘর দেওয়া হয়েছে।
এদিন দীর্ঘক্ষণ অবরোধ চলার পর জয়েন্ট বিডিও রুবিনা নামচু লোপচার মাধ্যমে সদর বিডিও বাগানে এসে পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেন চা শ্রমিকরা। অবরোধ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন চা শ্রমিক নেতা পীযূষ মিশ্র সহ অন্যান্য শ্রমিক নেতৃবৃন্দ। তাঁরা জানান, বিডিও’কে তাঁরা প্রকৃত ২৫০ জন গরিব মানুষের তালিকা তুলে দেবেন। তাঁদের ঘরের ব্যবস্থা সরকারকেই করতে হবে।
Comments :0