কারো বাড়ি বার্মায়, কেউ থাকত পাকিস্তানে, কেউ আবার নেপাল, বাংলাদেশে বা ভারতের অন্য কোন প্রদেশে। অনেকের কাছেই ভাইফোঁটা ব্যাপারটাই অজানা-অচেনা। জাতি-ধর্ম-ভাষা নির্বিশেষে সব আবাসিক শিশু কিশোরদের ভাইফোঁটা দিল এলাকার বোনেরা।
জলপাইগুড়িতে সরকারি আশ্রয়কেন্দ্র কোরক হোম। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘স্পন্দন’ ভাইফোঁটার দিনে আবাসিকদের ফোঁটা দেওয়ার ব্যবস্থা করে। স্থানীয় কিশোরীরাই দেয় ফোঁটা। গত কুড়ি বছর ধরে এমন আয়োজন করছে ‘স্পন্দন’।
এবারও ভাইফোঁটায় হলো মিষ্টি মুখ, উপহার বিনিময়। সঙ্গে থাকল মধ্যাহ্নভোজ।
আয়োজন করা হয় গত কুড়ি বছর ধরে। আবাসিক শিশুরা পরিবারের সান্নিধ্যে থাকে না। সেই অভাব পূরণ দেওয়ার চেষ্টা করে জলপাইগুড়ি স্পন্দনের কর্মকর্তারা। জলপাইগুড়ি শহর এবং সংলগ্ন এলাকার ছোট ছোট বোনেরা এই দিনটির জন্য অপেক্ষা করে থাকে জলপাইগুড়ি রেসকোর্স পাড়া এলাকায় হোমের ভাইদের ফোটা দেবে বলে।
এই মুহূর্তে জলপাইগুড়ির এই হোমে ৯৫ জন আবাসিক রয়েছে। বোনেরা বলেছে, দেশ-বিদেশের বহু ছেলে-মেয়ে আইনগত বিভিন্ন কারণে এই হোমে রয়েছেন। অনেকেই বাড়ি ফিরতে চান কিন্তু আইনি জটিলতার কারণে তাদের বাড়ি ফেরা সম্ভব হচ্ছে না। পরিবার থেকে দূরে থাকা দেশ-বিদেশের ভাইদের কপালে ফোঁটা দিয়ে আমরা আনন্দিত।
KOROK HOME JALPAIGURI
পরিবার ছেড়ে দূরে থাকা ভাইদের ফোঁটা জলপাইগুড়িতে
×
Comments :0