কেবল ৮ জেলায় আত্মঘাতী হয়েছেন এক হাজারের বেশি কৃষক। মহারাষ্ট্রের মারাঠাওয়াড়ার ২০২৩’র প্রশাসনিক রিপোর্টেই জানানো হয়েছে এই তথ্য। ২০২২’র তুলনায় আরও ২২ কৃষক আত্মঘাতী হয়েছেন।
সোমবার অযোধ্যায় ধর্মীয় অনুষ্ঠানে প্রধান কার্যনির্বাহীর দায়িত্ব নিয়ে ফেলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রামলালাকে ঘরে ফেরানোর কৃতিত্ব দাবি করেছেন কৌশলে। তাঁর ‘নতুন ভারত’ নিয়েও ফের প্রচার করেছেন ভোটের রাজনীতিকে মাথায় রেখে। তবে দেশের বাস্তব অবস্থা কী, দেখিয়ে দিচ্ছে মারাঠাওয়াড়ার এই তথ্য।
১০৮৮ আত্মঘাতী কৃষকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বীড জেলায়, ২৬৯ জন আত্মঘাতী এখানে। ছত্রপতি শম্ভাজীনগরে ১৮২ কৃষক আত্মঘাতী হয়েছেন। ১৭৫ কৃষক আত্মঘাতী হয়েছেন নান্দেদে।
এই এক বছরেই একশোর বেশি কৃষক আত্মঘাতী হয়েছেন ধারাশিব, পার্ভনী জেলাতেও।
২০২২ সালেও মারাঠাোয়াড়ার জেলাগুলিতে আত্মঘাতী হন ১০২৩ কৃষক। প্রশাসন যদিও সব ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ দেয় না। কৃষি সঙ্কটের কারণে আত্মহত্যা মনে করলে দেওয়া হয় এককালীন ১ লক্ষ টাকা। এবার যে ১০৮৮ কৃষক আত্মঘাতী তার মধ্যে ৭৭৭ কৃষকের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের জন্য যোগ্য মনে করছে প্রশাসন।
সারা ভারত কৃষক সভার মতো বিভিন্ন কৃষক সংগঠনের যৌথ মঞ্চ কৃষিতে এমন সঙ্কটের জন্য কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদীর সরকারকেই দায়ী করছে। ২৬ জানুয়ারি সারা দেশের বিভিন্ন এলাকায় পদযাত্রার ডাক দিয়েছে সংযুক্ত কিসান মোর্চা।
কৃষক নেতৃবৃন্দ বারবারই বলছেন যে চাষের খরচ বাড়ছে মারাত্মক হারে। কারণ ডিজেল এবং সেই সঙ্গে বিদ্যুতের খরচ বাড়ছে। ভয়াবহ মাত্রায় বেড়ে সারের দাম। সারের জোগান কমে যাচ্ছে। ফলে চলছে কালোবাজারি। কৃষি উপকরণের বাজার দখল নিয়ে রেখেছে কর্পোরেট সংস্থাগুলি। আরেকদিকে ফসল বিক্রি করে দাম পেতেও নাজেহাল হতে হচ্ছে কৃষকদের। মোদী সরকার খরচের সঙ্গে তার অর্ধেক যোগ করে সহায়ক মূল্যের দাবি জানাচ্ছে। কিন্তু মোর্চা নেতৃবৃন্দ বলছেন, খরচের হিসাবই কমিয়ে করা হচ্ছে। ঋণগ্রস্ততা বাড়ছে। বাড়ছে আত্মহত্যা। প্রাকৃতিক দুর্যোগে শস্যহানিতে বিমার টাকাও মিলছে না। প্রধানমন্ত্রী ‘কিসান সম্মান নিধি’ প্রকল্পে সরাহা হচ্ছে না।
অভিযোগ কতটা বাস্তব দেখাচ্ছে মারাঠাওয়াড়ার তথ্যই।
Comments :0