electoral bond bjp

‘অজানা’ দাতাদের ৪৬৬ কোটি টাকাই বিজেপি’র ঘরে

জাতীয়

সম্পূর্ণ তথ্যই প্রকাশ করতে বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট। টালবাহানার পর সুপ্রিম কোর্টের কড়া নির্দেশে তালিকা বের করতে হয়েছে স্টেট ব্যাঙ্ককে। কিন্তু এখনও ৬২৩.২ কোটি টাকা কারা পেয়েছে জানা গেলেও দাতার খোঁজ নেই।
কে কাকে কত টাকা দিয়েছে জানার মতো তালিকা প্রকাশ করতে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু স্টেট ব্যাঙ্ক যে তালিকা বের করেছে তার মধ্যে এই ৬০০ কোটি টাকার দাতাদের পরিচয় জানানো হয়নি। তবে দেখা গিয়েছে ‘অজানা ’ দাতারা সবচেয়ে বেশি টাকা দিয়েছে বিজেপি-কে। 
এই ৬২৩.২ কোটি টাকার মধ্যে বিজেপি ভাঙিয়েছে ৪৬৬ কোটির বেশি টাকার বন্ড। এই টাকা দলের তহবিলেও পৌঁছে গিয়েছে। লক্ষ্যণীয়, ২০১৭’তে নির্বাচনী বন্ড চালু করার জন্য লোকসভায় অর্থবিল পেশ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকার। অর্থমন্ত্রী ছিলেন অরুণ জেটলি। তিনি প্রয়াত। তবে জেটলির অন্যতম যুক্তি ছিল রাজনৈতিক দলে অজানা উৎস থেকে অনুদান বন্ধ করার পক্ষে। 
ইংরেজি ওয়েবসাইট ‘বিজনেস লাইন’ জানাচ্ছে, কংগ্রেসের ৭০ কোটি টাকা এবং তৃণমূলের ১৭ কোটি টাকার দাতা ‘অজানা’। 
স্টেট ব্যাঙ্কের তালিকায় মোট ১ হাজার ৬৭৯টি নির্বাচনী বন্ডে দাতার পরিচয় নেই। পরিচয়বিহীন বন্ড পেলেও বিজেপি’র ভাঙাতে সমস্যা হয়নি! 
সিপিআই(এম) প্রশ্ন তুলেছে, ‘বিজেপি কী লুকাতে চাইছে।’ সোশাল মিডিয়ার পোস্টে সিপিআই(এম) বলেছে, ‘দাতার পরিচয় নেই এমন বন্ড ভাঙিয়ে ৪৬৬ কোটি টাকা তহবিলে নিয়েছে বিজেপি।’
সিপিআই(এম) এই বিল পেশ করার সময় থেকে সরবে বিরোধিতা করেছে। সেই সময়ে সাংসদ সীতারাম ইয়েচুরি যে যে আশঙ্কা সংসদে জানিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের রায়ে সেগুলিই স্পষ্ট হয়েছে। দেখা গিয়েছে, সরকারে আসীন দলকে টাকা দিয়ে বিপুল বরাত পেয়েছে বিভিন্ন সংস্থা। সিপিআই(এম) যাকে রাজনৈতিক তোলাবাজি আখ্যা দিয়েছে। সিবিআই, ইডি বা আয়কর দপ্তরের তল্লাশির পর নির্বাচনী বন্ড কিনেছে বহু সংস্থা। তারপর তল্লাশিও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আবার ঘোষিত মুনাফার কয়েকগুন অর্থ দিয়েছে এমন সংস্থাও কম নয়। বন্ডে নির্বাচনী তহবিলে টাকা দিয়েছে ওষুধ নির্মাতা বা বিদ্যুৎ সরবরাহ সংস্থা, দাম বাড়িয়েছে পণ্য এবং পরিষেবার। হয়নি কোনও নজরদারি। 
বিজেপি’ এমন সব বন্ড ভাঙিয়েছে খুব তাড়াতাড়ি। ২০১৯’র ১২ এপ্রিল থেকে ২৫ এপ্রিলের মধ্যে বিজেপি’র তহবিলে ঢুকে গিয়েছে ৪৬৬.৩ কোটি টাকা। 
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী ২০১৯’র ১২ এপ্রিল থেকে ২০১৪ পর্যন্ত নির্বাচনী বন্ডের তথ্য দিতে বলা হয় স্টেট ব্যাঙ্ককে। এই বন্ড কেনা হয়েছিল ২০১৯’র ১২ এপ্রিলের আগে। কিন্তু বিজেপি ভাঙিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশিত মেয়াদেই। অনুমান, স্টেট ব্যাঙ্ক এই অস্পষ্টতাকে ব্যবহার করে তথ্য গোপন করেছে।

Comments :0

Login to leave a comment