‘চোর তাড়াও, ভাঙো ঘুঘুর বাসা’ এবং ‘দুর্নীতি রুখে দাও, শিক্ষা ও কাজের পরিবেশ ফেরাও’- এই দুই স্লোগানকে সামনে রেখে শুক্রবার পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদ অভিযান করলেন জেলার ছাত্র যুবরা। এদিন বর্ধমান জংশন রেল স্টেশন থেকে বিশাল মিছিল শুরু হয়। মিছিল যায় জেলা পরিষদ ভবন অবধি। মিছিল শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত হয়।
এদিন বর্ধমান শহর কার্যত চলে গিয়েছিল এসএফআই-ডিওয়াইএফআই কর্মীদের দখলে। জেলা পরিষদ ভবনে ছাত্র যুবদের প্রবেশ আটকাতে রাস্তায় ত্রিস্তরীয় ব্যারিকেড বসায় জেলা পুলিশ। প্রথম ব্যারিকেডে ছিলেন সিভিক পুলিশ কর্মী। ছাত্র-যুব স্রোতের মুখে খড়কুটোর মতো উড়ে যায় প্রথম দুটি ব্যারিকেড। তৃতীয় ব্যারিকেডের সামনে ছোট ট্রাকের উপর দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ সভা হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন ডিওয়াইএফআই রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষি মুখার্জি, রাজ্য সভাপতি ধ্রবজ্যোতি সাহা সহ ছাত্র এবং যুব নেতৃত্ব।
সভায় মীনাক্ষি মুখার্জি বলেন, পশ্চিমবঙ্গের বেকাররা প্রত্যেকটা দিন জীবন যন্ত্রণার সঙ্গে লড়ছে। কাজ নেই। প্রত্যেক দিন কাজ কমছে। রাজ্য এবং দেশের সরকার একের পর এক কল কারখানা বন্ধ করে দিচ্ছে। এর মধ্যে মমতা ব্যানার্জি মুখে ঘোষণা করছেন যে চাকরি হবে। আমরা জানতে চাই, মুখের ঘোষণায় কি হয়? সরকার দায়িত্ব নিয়ে মিথ্যাচার করছে। কোনও নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি নেই। তারপর একদিন সরকার বলে দেবে এইতো এত ছেলে মেয়েকে চাকরি দিলাম। আসলে এরা মিথ্যার দোকান খুলে বসেছে।
মীনাক্ষি মুখার্জি বলেন, সরকারের এই মিথ্যা কথা বলার অভ্যাস ধরে ফেলেছেন গোটা রাজ্যের যুবরা। তাই পূর্ব বর্ধমানের এই মিছিলে এত যুব যোগ দিয়েছেন।
এদিন প্রথমে জেলা প্রশাসনের তরফে এসএফআই-ডিওয়াইএফআই’র ডেপুটেশন নিতে অস্বীকার করা হয়। কিন্তু জমায়েতের চাপে অবস্থান বদল করে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন। ছাত্র-যুবদের এক প্রতিনিধি দল জেলা পরিষদে গিয়ে ডেপুটেশন দিয়ে আসেন।
Comments :0