share scam Rahul

শেয়ার কেলেঙ্কারিতে মোদী-শাহ, সরব রাহুল

জাতীয়

বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলনে রাহুল গান্ধী।

বুথফেরত সমীক্ষার পর শেয়ার বাজার ব্যাপক চড়ে গিয়েছিল। তার আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জনতাকে শেয়ার বাজারে টাকা বিনিয়োগের উপদেশও দিয়েছিলেন। আর ৪ জুন, লোকসভা ভোটের ফল ঘোষণার দিনে, হুড়মুড়িয়ে নামল শেয়ার বাজার। বহু ছোট বিনিয়োগকারী খুইয়েছেন সম্পদ। পুরো ঘটনাক্রমকে পরিকল্পিত কেলেঙ্কারি আখ্যা দিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। 
রাহুলের অভিযোগ, বাজার চড়ে গিয়ে ফের দ্রুত নেমে যাওয়ায় শাধারণ এবং ছোট বিনিয়োগকারীদের ৩০ কোটি টাকার লোকসান হয়েছে। ভুয়ো বুথফেরত সমীক্ষায় জড়িত সংস্থাগুলির পাশাপাশি বিজেপি’র শীর্ষ নেতারা জড়িত এই কেলেঙ্কারিতে। তাঁর দাবি, পুরো ঘটনার তদন্ত হওয়া উচিত। যৌথ সংসদীয় কমিটি গড়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের ভুমিকার তদন্ত করতে হবে। 
বৃহস্পতিবার দিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন রাহুল। দিল্লিতে এখন নতুন লোকসভার অধিবেশন ঘিরে তৎপরতা শুরু হয়েছে। চলতি সপ্তাহের শেষে বা আগামী সপ্তাহের শুরতেই প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিতে পারেন নরেন্দ্র মোদী। এই সরকারে বিজেপি জোট শরিকদের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। সেই আবহে রাহুল বুঝিয়েছেন সংসদের ভেতরে বিজেপি জোট সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অবস্থান নিয়েই চলবে কংগ্রেস। 
অমিত শাহকে নির্বাচন চলাকালীন একটি সাক্ষাৎকারে শেয়ার বাজারে পতন নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। তিনি বলেছিলেন ৪ জুনের আগে শেয়ার বাজারে পয়সা ঢালুন। ৪ জুন ফল ঘোষণার পরই চড়ে যাবে।
রাহুলের বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন পরপর শেয়ার বাজার নিয়ে মন্তব্য করতে থাকায় বিষয়টি নজরে আসে। রাহুল বলেছেন, ‘‘সচরাচর এমন হয়না। কিন্তু এবার দেখলাম প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সরাসরি শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের নানা পরামর্শ দিচ্ছেন।’’
রাহুলের অভিযোগ, ‘‘বিজেপি’র শীর্ষস্তর এবং বুথফেরত সমীক্ষায় যুক্ত সংস্থাগুলির প্রধানরা জানতেন ফলাফল সম্পর্কে একেবারে ভুল অনুমান করা হচ্ছে। শেয়ার বাজারে টাকা বিনিয়োগের জন্য এই ভুয়ো সমীক্ষা চালানো হয়। ফল বেরতেই দেখা যায় তা মিথ্যা। 
রাহুল বলেছেন, ‘‘শেয়ার বাজারে এই কেলেঙ্কারি ভারতের ইতিহাসে বৃহত্তম। যৌথ সংসদীয় কমিটি গড়ে তদন্ত করতে হবে। বিজেপি’র শীর্ষস্তর এই কেলেঙ্কারিতে জড়িত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহের ভূমিকার তদন্ত করতে হবে।’’ 
অষ্টাদশ লোকসভার ভোটপর্ব শুরু হয় ১৯ এপ্রিল। ভোটদানের হার কমতে দেখা যায় প্রায় প্রতিটি পর্বে। মোদীর পক্ষে যে হাওয়া নেই, স্পষ্ট হতে থাকে। পাল্লা দিয়ে নামতে থাকে শেয়ার বাজারের সূচক। বুথফেরত সমীক্ষায় বিজেপি এবং এনিডিএ-কে প্রায় চারশো পার করিয়ে দেয় বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের সমীক্ষা। চড়ে যাব শেয়ার বাজার। বাস্তবে বিজেপি থেমে গিয়েছে সংখ্যাগরিষ্ঠতার থেকে দূরে ২৪০ আসনে, এনডিএ ২৯৩।

Comments :0

Login to leave a comment