SC RAMDEV PATANJALI

আদালতে দুঃখপ্রকাশ রামদেবের, ‘অলৌকিক নিরাময়ের’ পক্ষেও সওয়ালও

জাতীয়

বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপনের জন্য সুপ্রিম কোর্টের কাছে ক্ষমা চাইতে হলো রামদেবের সংস্থা ‘পতঞ্জলি’-কে। বৃহস্পতিবার এই সংস্থা জানিয়েছে যে ভবিষ্যতে এমন কোনও বিজ্ঞাপন ছাপা হবে না। 
সুপ্রিম কোর্টের চাপেই পিছাতে হয়েছে রামদেবের সংস্থাকে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও নিজেদের বিজ্ঞাপনের জন্য দুঃখপ্রকাশ করতে রাজি ছিল না সংস্থা। এমনকি, এদিনও, সুপ্রিম কোর্টে ‘অলৌকিক নিরাময়ের দাবি রোধ’ সংক্রান্ত আইনটির সমালোচনা করেছে পতঞ্জলি। 
গত মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট নোটিশ পাঠিয়ে সংস্থাকে বলে নির্দেশ অমান্য করলে শাস্তির দিকে এগনো হবে। এদিন ‘নিঃশর্ত ক্ষমাপ্রার্থনা’ করেছে পতঞ্জলি। সংস্থার দুই মাথা রামদেব এবং বালকৃষ্ণকে আদালতে হাজিরার নির্দেশও দেয়।  
অ্যালেপ্যাথি চিকিৎসা পদ্ধতিকে হেয় করার মতো বিজ্ঞাপন ছাপার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছিল ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ)। করোনার সময় ‘করেনিল’ নামে একটি ওষুধ বিক্রি করে পতঞ্জলি। দাবি করা হয় তাতে করোনা সেরে দেয়। আইএমএ প্রশ্ন তোলে, রামদেবের দাবির বৈজ্ঞানিক ভিত্তি কী। 
২০২৩’র নভেম্বরেই সুপ্রিম কোর্টের তলবে রামদেবের সংস্থাকে আশ্বাস দিতে হয়েছিল যে ভুল ধারণা প্রচার করার মতো বিজ্ঞাপন ছাপা হবে না। কিন্তু তারপরও এমন বিজ্ঞাপন ছাপার তথ্য দিয়ে আদালতে অভিযোগ জানায় আইএমএ। 
এদিন সুপ্রিম কোর্টে ‘পতঞ্জলি’ বলেছে, ২০২৩’র নভেম্বরের পর ভুল করে সংস্থার বিজ্ঞাপন বিভাগ ওই বক্তব্য ছেপেছে। আয়ুর্বেদ গবেষণার পাওয়া ওষুধের গুনাপুন সম্পর্কে প্রচার করার উদ্দেশ্য ছিল কেবল। যাতে স্বাস্থ্যকর জীবনের খোঁজ নাগরিকরা পেতে পারেন।  
সেই সঙ্গে সংস্থার বক্তব্য, অলৌকিক নিরাময়ের দাবি বিজ্ঞাপন এবং প্রচার রোধ আইনের ধারণা অচল হয়ে পড়েছে। ১৯৯৬ সালে এই আইন পাশ হয়েছিল তারপর অনেকদিন কেটে গিয়েছে।
বিজ্ঞান মনস্কতা প্রচারে জড়িত বিভিন্ন আন্দোলন অলৌকিক নিরাময়ের দাবির বিপজ্জনক দিকের বিরুদ্ধে প্রচার চালিয়েছে, সচেতন করেছে জনতাকে। বিজ্ঞানসম্মত নয় কেন, ব্যাখ্যাও দিয়েছে বিভিন্ন সময়ে।

Comments :0

Login to leave a comment