RAJASTHAN RAMLALA SCHOOL

স্কুলে স্কুলে ‘রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা’ পালনের নির্দেশ রাজস্থানে, প্রতিবাদ সিপিআই(এম)’র

জাতীয়

‘রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা’ পালন করতে হবে সব স্কুলে। ২২ জানুয়ারি সরকারি স্কুলে স্কুলে হবে উৎসব। এমনই নির্দেশিকা জারি করে রাজস্থানের বিজেপি সরকার। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একেবারে খোলাখুলি ধর্মীয় প্রচারের প্রতিবাদ করেছে সিপিআই(এম)। 
বিধানসভা নির্বাচনে গত বছরের শেষে রাজস্থানেই জয়ী হয় বিজেপি। কিন্তু লোকসভা ভোটে একগুচ্ছ আসন কেড়ে নিয়েছে ‘ইন্ডিয়া’ ব্লক। সিকরে জয়ী হয়েছেন কংগ্রেস সমর্থিত ‘ইন্ডিয়া’ প্রার্থী সিপিআই(এম)’র অমরা রাম। লোকসভা ভোটের পর সারা দেশের মতো রাজ্যেও উগ্র হিন্দুত্ববাদের রব তুলে নেমে পড়েছে বিজেপি এবং সঙ্ঘ পরিবার। সিদ্ধান্তের কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে সিপিআই(এম)। 
মুখ্যমন্ত্রী ভজন লাল শর্মার সরকার ‘রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা’ দিবস পালনের নির্দেশিকা জারি করেছে এ সপ্তাহেই। বলা হয়েছে, প্রতি বছর সব সরকারি স্কুলে এই অনুষ্ঠান পালন করতে হবে। বাবরি মসজিদ ভেঙে রামমন্দির প্রতিষ্ঠার গৌরব ব্যাখ্যা করতে হবে স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের কাছে। 
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যদিও বারেবারেই উগ্র হিন্দুত্ববাদী সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গি ছড়ানোর ব্যবস্থা দেশে এবং বিভিন্ন রাজ্যে করছে কেন্দ্র। সর্বত্র ইতিহাসকে বাতিল করে পুরানের কাহিনীকেই চিরসত্য বলে গেঁথে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে শিশুমনে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা প্রশ্ন করতে শেখায়। বিজেপি এবং আরএসএস’র আসল উদ্দেশ্য হলো যুক্তিবোধকে ধ্বংস করে প্রশ্ন না করতে শেখানো। 
লোকসভা ভোটের আগেই ঘটা করে অযোধ্যায় অসমাপ্ত মন্দিরে ‘রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা’ করতে নেমে পড়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজে। সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতার নির্দেশ শিকেয় তুলে পুরোহিতদের বাদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রীই পুজোপাঠ করে ব্যাপক প্রচার চালিয়েছিলেন। তবে লোকসভা ভোটে ফৈজাবাদ কেন্দ্রে হেরে গিয়েছে বিজেপি, যে কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে অযোধ্যা। 
সাংসদ এবং সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক অমরা রাম বলেছেন, ‘‘সব ধর্মকে সমান মর্যাদা দিতে শেখানো হয় স্কুল থেকে। দেওয়া হয় ধর্মনিরপেক্ষতার পাঠ। কোনও একটি ধর্মের আচার আচরণ জনপ্রিয় করার জন্য ধর্মনিরপএক্ষ দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করা যায় না। বারবারই সংবিধানকে অমান্য করার পথে এগচ্ছে বিজেপি। এই নির্দেশিকা বাতিল করতে হবে।’’  
নরেন্দ্র মোদী ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’ সমারোহে সম্মতি দেননি শঙ্করাচার্যেরাও। তাছা৩ বহু অংশই বলেছে যে রাষ্ট্রীয় মদতে ধর্মীয় অনুষ্ঠানের নামে আসলে বিজেপি’র রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। 
সিপিআই(এম) রাজস্থান রাজ্য কমিটি বলেছে, রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী মদন দিলাবর শিক্ষার প্রসারের চেয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাম্প্রদায়িক মেরুকরণকে তীব্র করতে বেশি ব্যস্ত। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই সাম্প্রদায়িকীকরণ বাতিল করতে হবে।

Comments :0

Login to leave a comment