পতঞ্জলি আয়ুর্বেদের ‘বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন’ নিয়ে যোগগুরু রামদেবকে দু’সপ্তাহের মধ্যে সশরীরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। পতঞ্জলি আয়ুর্বেদের ম্যানেজিং ডিরেক্টর আচার্য বালকৃষ্ণকেও হাজিরা দিতে বলা হয়েছে।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট পতঞ্জলি আয়ুর্বেদকে রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, বাত, হাঁপানি এবং মেদ জনিত রোগের মতো অসুখের জন্য তাদের উৎপাদিত ওষুধের বিজ্ঞাপন প্রকাশ করতে নিষেধ করে। শীর্ষ আদালত পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ এবং এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর আচার্য বালকৃষ্ণের বিরুদ্ধে অবমাননার নোটিশ জারি করেছে।
পতঞ্জলি আয়ুর্বেদের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন ছড়ানোর অভিযোগে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (আইএমএ) দায়ের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত অবমাননার নোটিশ জারি করা হয়।
মঙ্গলবার বিচারপতি হিমা কোহলি ও বিচারপতি আমানুল্লাহর বেঞ্চ জানায়, আগের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও এই মামলায় কোনও জবাব দাখিল করা হয়নি।
আদালত রামদেবকে শুধু সশরীরে আদালতে হাজিরা দিতে বলেননি, আদালত অবমাননার দায়ে কেন তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে নোটিশও জারি করেছে।
শুনানি চলাকালীন আদালত রামদেবের হয়ে উপস্থিত সিনিয়র অ্যাডভোকেট মুকুল রোহতগির কাছে জানতে চায়, কেন তাঁরা এখনও আদালত অবমাননার নোটিশের জবাব দাখিল করেননি।
‘‘এখন আমরা আপনার মক্কেলকে আদালতে হাজিরা দিতে বলব। এবার আমরা বাবা রামদেবকেও একটি পক্ষ বানাব। দু’জনকেই আদালতে হাজিরা দিতে বলা হবে,’’ শীর্ষ আদালত বলে।
এই মামলায় বাবা রামদেবকে পক্ষ না করার জন্য রোহতগির অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে আদালত বলেছে, ‘‘তিনি প্রতিটি বিজ্ঞাপনে ছিলেন এবং তিনি একটি সাংবাদিক সম্মেলনও করেছিলেন’’।
মামলার শুনানি পিছিয়ে দেওয়া হবে না বলেও জানিয়েছে আদালত। মাত্র একদিন আগে জবাব দাখিল করার জন্য বেঞ্চ কেন্দ্রীয় আয়ুষ মন্ত্রককে তিরস্কার করেছিল। এর উত্তরে কেন্দ্রের তরফে আদালতকে জানানো হয়, উপযুক্ত জবাব দেওয়ার জন্য আরও সময় প্রয়োজন। এরপরই সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রকে নতুন করে হলফনামা জমা দিতে বলে।
Comments :0