জনতার রায়ে নরেন্দ্র মোদীর কেবল নির্বাচনী পরাজয় হয়নি, নৈতিক পরাজয়ও হয়েছে। কিন্তু সবাই জানে, জনতার রায় অমান্য করতেই তিনি অভ্যস্ত।
বুধবার ‘ইন্ডিয়া’ বৈঠকের সূচনা ভাষণে এই মন্তব্য করলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। সন্ধ্যা ৬টার কিছু পরে শুরু হয়েছে বিজেপি বিরোধী দলগুলির এই বৈঠক।
এদিনই কেন্দ্রের বিদায়ী মন্ত্রীসভা এবং মন্ত্রীমণ্ডলীর বৈঠক হয়েছে নিয়ম মতো। হয়েছে বিজেপি জোট এনডিএ’র বৈঠক। বৈঠকে যোগ দিয়েছেন টিডিপি নেতা চন্দ্রবাবু নাইডু এবং বিহারের মুখ্যমন্ত্রী জনতা দল (ইউ) নেতা নীতীশ কুমার। এই দুই নেতার ওপরই নির্ভর করছে এনডিএ’র সরকার গঠন। শনিবার প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিতে চলেছেন মোদী।
বিজেপি জানিয়েছে, নীতীশ কুমার এবং চন্দ্রবাবু নাইডুর লিখিত সমর্থন বার্তা নিয়ে রেখেছেন মোদী। এনডিএ বৈঠকে প্রস্তাবেও ‘মোদীর নেতৃত্বে সরকারের কাজের সাফল্য’ বলে ব্যাখ্যা করা হয়েছে নির্বাচনী ফলাফলকে।
খাড়গে ‘ইন্ডিয়া’-র বৈঠকে বলেছেন, ‘‘সব দল দেশের সম্প্রীতি রক্ষার জন্য লড়াই করেছি। জনতার রায় সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিপক্ষে। তাঁর নাম এবং তাঁকে দেখিয়েই এই নির্বাচন লড়েছিল বিজেপি এবং এনডিএ। জনতাও স্পষ্ট রায় দিয়েছেন, বিজেপি-কে গরিষ্ঠতা থেকে দূরে রেখেছেন।’’
বিজেপি’র আসন ৩০৩ থেকে ২৪০ এবার। ভোটে বিজেপি লড়েছিল ‘মোদী কী গ্যারান্টি’ স্লোগান তুলে। লোকসভায় নির্ণায়ক গরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ২৭২ আসন। জোট শরিকদের নিয়ে বিজেপি পৌঁছে ২৯০ আসনে। ‘ইন্ডিয়া’ তৈরি হওয়ার আগে মোদী জোট নিয়ে মাথা ঘামাতে রাজিই ছিলেন না। ২০১৪ এবং ১০১৯’র নির্বাচনে পরপর একা বিজেপি নির্ণায়ক গরিষ্ঠতা পেয়েছিল।
এদিন মোদীকেই জোটের নেতা হিসেবে বেছে নিয়েছে এনডিএ। জানা গিয়েছে, দ্রুত এই সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর জন্য মোদী নিজেই সক্রিয় থেকেছেন, মঙ্গলবার, ফল বেরনোর পর থেকে।
MODI OATH KHARGE
জনাদেশ মানতে নারাজ মোদী, শপথের ঘোষণার পর বলছেন খাড়গে
×
Comments :0