খাবারের দাম চড়া। দাম বাড়ার হার প্রায় ১০ শতাংশ। আমজনতার কেনাকাটি যেখানে, সেই খুচরো বাজারের এমন চেহারা ধরা পড়েছে জাতীয় নমুনা সমীক্ষা সংগঠন (এনএসও)’র সমীক্ষায়।
গত বছরের প্রায় পুরো সময়েই চড়া দাম থেকে বাজারে। তা সে খুচরো বাজারই হোক বা ব্যবসায়ীরা যেখান থেকে মালপত্র কেনেন সেই পাইকারি বাজার।
ডিসেম্বরের সমীক্ষায় এনএসও জানিয়েছে খুচরো বাজারে দাম বাড়ার হার ৫.৬৯ শতাংশ। তার মধ্যে সব রকমের জিনিসপত্র ধরা রয়েছে। চার মাসে এই হারই খুচরো বাজারে বিচারের ক্রেতা মূল্য সূচক বা সিপিআই বৃদ্ধির সর্বোচ্চ। যার অর্থ, ২০২২’র ডিসেম্বরের তুলনায় ২০২৩’র একই মাসে সাধারণের ব্যবহার্য জিনিসপত্রের দাম আরও ৫.৬৯ শতাংশ বেড়েছে।
গত বছরের আগস্টে সিপিআই সর্বোচ্চ ছিল আগস্টে, ৬.৮৩ শতাংশ। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সুপারিশ, ক্রেতা মূল্য সূচকে বৃদ্ধির হার ৪ শতাংশের মধ্যে রাখতে হবে।
এনএসও’র হিসেব জানাচ্ছে, গত বছরের নভেম্বরে ক্রেতা মূল্য সূচক বৃদ্ধির হার ছিল ৫.৫৫ শতাংশ। ২০২২’র ডিসেম্বরে মূল্য বৃদ্ধির হার ছিল ৫.৭২ শতাংশ।
কিন্তু অর্থনীতিবিদদের কাছে সবচেয়ে বড় উদ্বেগের খাদ্যদ্রব্যে মূল্যবৃদ্ধি। এনএসও জানাচ্ছে,ডিসেম্বরে খাদ্যদ্রব্যে মূল্যবৃদ্ধির হার ছিল ৯.৫৩ শতাংশ। প্রায় ১০ শতাংশের কাছাকাছি মূল্যবৃদ্ধি খাদ্যে হওয়ায় সব জিনিসপত্রে দামের মিলিত সূচকের হারও ঊর্ধ্বমুখী।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রচারে গুরুত্ব পাচ্ছে ৮০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে খাদ্যশস্য দেওয়ার ‘সাফল্য’। মাসে পাঁচ কেজি করে শস্যে যদিও বেঁচে থাকার পক্ষে প্রয়োজনীয় সব রসদ মেলা অসম্ভব। ক্ষুধার্ত মানুষের বিচারে বিশ্বে ভারত একেবারে পিছনের সারিতে।
Comments :0