অবশেষে খাঁচা বন্দি করা গেলচিতাবাঘকে। এই চিতাবাঘের আতঙ্কে আলোড়ন পড়ে গিয়েছিল কাদম্বিনী চা বাগান এলাকায়। প্রায় চারমাস আগে চিতা বাঘের আতঙ্ক ছড়ায় ফালাকাটা দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার কাদম্বিনী চা বাগান এলাকায়। একাধিকবার চিতাবাঘ নজরে আসে বাগানের শ্রমিকদের। তারপর থেকে অনেকেই চিতাবাঘকে লোকালয়ে ঘোরাঘুরি করতে দেখেন এমনটাই জানিয়েছেন বাগান শ্রমিকরা। তাদের বক্তব্য চিতাবাঘের আক্রমণে অনেকের ছাগল জখম হয়। বাড়তে থাকে আতঙ্ক।
বন দপ্তরের কাছে আতঙ্কিত স্থানীয় মানুষ খাঁচা পাতার দাবি করেন। স্থানীয়দের দাবি মেনে তিনমাস আগে একটি খাঁচা পাতা হয় জলদাপাড়া বন দপ্তরের তরফে। যদিও সেই খাঁচায় ধরা দেয়নি চিতাবাঘটি। বনদপ্তরও নাছোড় তুলে নেয়নি চিতাবাঘের জন্য পাতা খাঁচাটি। দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবশেষে খাঁচা বন্দি করা গেলচিতাবাঘটিকে। স্থানীয় বাসিন্দারা খাঁচা থেকে গর্জনের শব্দ শুনে বুঝতে পারেন, চিতাবাঘটি ধরা পড়েছে। চা শ্রমিকরা সকালে কাজে যোগে দিতে যাওয়ার সময় দেখতে পান সত্যিই খাঁচায় বন্দি হয়েছে চিতাবাঘটি। বাগানের শ্রমিক সহ স্থানীয় মানুষের ঢল নামে এলাকায়। আতঙ্কের সেই চিতাবাঘ দেখতে ভীর জমে যায় এলাকায়। অনেকে ছবি তোলেন। স্বস্তির নিঃশ্বাস ছাড়েন চা শ্রমিক ও গ্রামবাসীরা। শ্রমিকরাই খবর দেয় বন দপ্তরে। ঘটনাস্থলে আসে জলদাপাড়া সাউথের রেঞ্জার রাজীব চক্রবর্তী সহ অন্যান্য বনকর্মীরা। আসেন কুঞ্জনগরের বিট অফিসার সনৎ শূর। রেঞ্জার রাজীব চক্রবর্তী বলেন, সকালে তাঁরা খবর পেয়েছিলেন খাঁচাতে চিতাবাঘ ধরা পড়েছে। এই চিতাবাঘের আতঙ্কে বাসিন্দারা কয়েক মাস ধরে আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছিলেন। বর্তমানে সুস্থ রয়েছে চিতাবাঘটি বনাঞ্চলে ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। তবে আতঙ্কের অবসান হয়েছে গ্রামের মানুষ ও চা শ্রমিকদের। দরকার পরলে আবারও খাঁচা পাতা হবে।’’
Leopard
কাদম্বিনী চা বাগানে খাঁচাবন্দি চিতাবাঘ
×
Comments :0