দেশের মাটিতেই বিক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে। প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়ার দাবিতে হচ্ছে মিছিল। বিক্ষোভ থেকে দাবি উঠছে দ্রুত নির্বাচনের। প্যালেস্তাইনকে জনশূন্য করার জিগির কাজে আসছে না।
আরবের সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে যে ফ্রান্সে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হতে চলেছে। ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন দ্বন্দ্ব ঘিরেই এই বৈঠকে হাজির থাকবেন আমেরিকার গোয়েন্দা বাহিনী সিআইএ’র প্রধান। মিশর এবং কাতারের প্রতিনিধিদেরও হাজির থাকার সম্ভাবনা জোরালো। বৈঠকে প্রতিনিধি পাঠাচ্ছেন নেতানিয়াহু।
‘শিশুদের শব বিছিয়ে সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারো না’। গত সপ্তাহে এই স্লোগান তুলেই রাজধানী তেল আভিভের রাস্তায় নেঙেছিল মহিলাদের মিছিল। সম্পূর্ণ সাদা পোশাক হাতে স্লোগান তুলে ধরা হয়েছিল ব্যানারে।
নেতানিয়াহুকে প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে কারণ ইজরায়েলেরই সরকারি ঘোষণা হামাসের হাতে বন্দি এখনও একশোর বেশি। তাদের ফিরিয়ে আনতে না পারায় নেতানিয়াহুকে ঘিরে বাড়ছে ক্ষোভ। বন্দিদের পরিবার শামিল হচ্ছে বিক্ষোভে। নেতানিয়াহু সরোষে বলেছেন তাঁদের, এভাবে সুবিধা করে দেওয়া হচ্ছে হামাস-কে।
রাজনীতির বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নীতির লড়াইয়ে চরম পরাজয় এমন ভাষণ। নিজের দেশবাসীকেই হামাসের সহযোগী বলছেন প্রধানমন্ত্রী, যে হামাস হামলা চালিয়েছে দেশের মাটিতে!
শনিবার রাত থেকে তেল আভিভে বিক্ষোভে ব্যানারে সরাসরি লেখা ছিল, ‘গাজায় গণহত্যা বন্ধ কর’। পুলিশ কেড়ে নিয়েছে ব্যানার। রবিবারের খবর বিক্ষোভে অংশ নেওয়ায় বেশ কয়েকজনকে ধরপাকড়ও করেছে। বন্দিদের পরিবারও নেমেছিল বিক্ষোভে।
নেতানিয়াহু যদিও এবারই প্রথম বিক্ষোভের মুখে পড়ছেন এমন নয়। প্যালেস্তাইনের মাটি দখল না হওয়া পর্যন্ত বোমা ফেলার নীতি নিলেও দেশের মাটিতে বিক্ষোভ ঠেকিয়ে রাখতে পারেননি।
অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতেও নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রবল। তাঁর নেতৃত্বে এবার যে সরকার চলছে তাকে ইজরায়েলের ইতিহাসে সবচেয়ে দক্ষিণপন্থী আখ্যা দিয়েছে পশ্চিমী সংবাদমাধ্যমও। বিচারবিভাগের ক্ষমতা কেড়ে নিতে আইনি সংস্কারে নেতানিয়াহু হাত দেওয়ায় ইজরায়েলের প্রায় সব শহরে দিনের পর দিন হয়েছে বিক্ষোভ। যুদ্ধকে কাজে লাগিয়ে অভ্যন্তরীণ বিক্ষোভের স্বর দমাতে সচেষ্ট ছিলেন নেতানিয়াহু। তবে তা হচ্ছে না।
Comments :0