সীমান্ত এলাকায় গরিব মানুষের নামে বিদেশে পাচার হয়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা। তার সঙ্গে যোগ রয়েছে রেশন দুর্নীতির। শনিবার জ্যতিপ্রিয় ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা শঙ্কর আঢ্যের জামিনের মামলায় এই সওয়াল করেছে ইডি।
এদিন ব্যাঙ্কশাল আদালতে ইডি’র দাবি, রেশন দুর্নীতির অঙ্ক ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি। এদিন একাধিক চাঞ্চল্যকর দাবি করেছে কেন্দ্রের ইডি। সওয়ালে বলা হয়েছে, ৯০টি বিদেশি মুদ্রা লেনদেন সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ ছিল বনগাঁ পৌরসভার প্রাক্তন প্রধান শঙ্কর আঢ্যের। রাজনৈতিক প্রভাব কাজে লাগিয়ে মোট ২০ হাজার কোটি টাকা পাঠানো হয়েছে বিদেশে। তার মধ্যে ২ হাজার কোটি টাকা পাঠানো হয়েছে দুবাইয়ে।
ইডি’র সওয়ালে দাবি, প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী এবং রেশন দুর্নীতি তদন্তে ধৃত জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের লেখা একটি চিঠি সংস্থার হাতে আসে। ১৬ ডিসেম্বর এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে ওই চিঠি লেখা হয়েছিল। ১৯ ডিসেম্বর চিঠির বক্তব্য ধরে জেরা করা হয় জ্যোতিপ্রিয়কে। ইডি’র দাবি, চিঠিতে নির্দেশ দেওয়া ছিল কার কার সঙ্গে যোগাযোগ করে টাকা নিতে হবে। কোথায় তা পৌঁছে দিতে হবে। মন্ত্রীকে এসএসকেএম হাসপাতালে জেরার পরই শুক্রবার তল্লাশি হয় শঙ্কর আঢ্যের বাড়িতে।
শুক্রবার একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালায় ইডি। তার মধ্যে সন্দেশখালির সরবেড়িয়ায় তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের বাড়ি তল্লাশিতে গিয়ে হামলার মুখে পড়েন ইডি আধিকারিকরা। ইডি সূত্রের দাবি, শাহজাহানের বাড়ি থেকে ফোন করে ডাকা হয় সশস্ত্র বাহিনীকে। আহত ইডি আধিকারিকদের হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। রাজ্যজুড়ে তোলপাড় পড়েছে এই ঘটনায়। পুলিশ এদিকে ইডি আধিকারিকদের বিরুদ্ধেই এফআইআর করেছে। ‘বিনা নোটিশে’ শাজাহানের বাড়ি যাওয়ার অভিযোগ দায়ের হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
শুক্রবারের ঘটনায় সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেছেন, রাজ্যজুড়ে দুষ্কৃতীদের মুক্তাঞ্চল তৈরি হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস সরকারকে অপরাধীরা নিজেদের বলে মনে করছে। আজ যারা বিজেপি’র নেতা তাঁরাও এই কাজে জড়িত থেকেছেন।
এদিকে ২০ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগ ঘির চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শনিবার। কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের অধীন এনফোর্সমেন্ট বিভাগ বা ইডি’র কাজ টাকা পাচার রোধ করা। একটি ঘটনাতেই ২০ হাজার কোটি টাকা পাচারে ইডি’র সঙ্গে কেন্দ্রেরও ব্যর্থতা রয়েছে বলে মনে করছে একাংশ।
ইডি আদালতে এদিন জানিয়েছে, গরিব মানুষের নামে অ্যাকাউন্ট খোলা হতো। তাতে টাকা পাঠানো হতো। তাঁরা জানতেও পারতেন না অনেকক্ষেত্রে। কালো টাকা সাদা করার পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় সংস্থা ব্যবহার করে বিদেশে পাঠানো হতো।
RATION SCAM SANKAR ADHYA
‘রেশন দুর্নীতি ১০ হাজার কোটির, গরিবের নামে অ্যাকাউন্ট সীমান্তে, টাকা পাচার বিদেশে’
×
Comments :0