তিন মাস দরে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের টাকা পাঠাচ্ছে না কেরালায়। ‘আশা’ স্বাস্থ্যকর্মীদের ভাতাও সঙ্কটে। রাজ্য বাজেটেই ‘আশা’ কর্মীদের জন্য ৩১.৩৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করল কেরালা।
কেন্দ্রের তীব্র বঞ্চনা সত্ত্বেও মানুষের পক্ষে উন্নয়ন চালিয়ে যাওয়ার বার্তা দিল কেরালার বাজেট। সোমবার কেরালা বিধানসভায় বাজেট পেশ করেছেন রাজ্যের বাম গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট সরকারের অর্থমন্ত্রী এন বালাগোপাল।
প্রায় ৩ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগের লক্ষ্য জানিয়েছেন বালাগোপাল। ভিঝিনাম বন্দরের মতো একাধিক প্রকল্প সম্পন্ন করার খতিয়ানও পেশ করেছেন। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে কেরালার মন্ত্রী এবং বিধায়করা ৮ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে ধর্ণা দেবেন। সারা দেশে বামফ্রন্টও কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে শামিল হবে প্রচারে।
পশ্চিমবঙ্গে টাকা না দেওয়ার যুক্তি হিসেবে তীব্র দুর্নীতিকে কারণ করেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলেও একেবারে গরিব মানুষের মজুরি আটকে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কেরালায় এমন কিছু করার উপায় নেই। কারণ স্বচ্ছতার বিধি অনুযায়ী মনরেগার সামাজিক হিসেবের কাজ ৯০ শতাংশের বেশি প্রকল্পে সম্পন্ন করে ফেলেছে কেরালা। এমনকি বাজার থেকে ঋণ নেওয়ার প্রয়াসেও বাধা দিয়েছে কেন্দ্র।
তারপরও সরকারি কোষাগারের সব আয় এবং ব্যয়ের খাত বা কোষাগারীয় খাতে ঘাটতি রাজ্যের মোট উৎপাদনের ৩.৪ শতাংশে বেঁধে রাখার লক্ষ্য জানিয়েছে কেরালা। অথচ, কেন্দ্রীয় বাজেটে, চলতি অর্থবর্ষেই, কোষাগারীয় ঘাটতি মোট জাতীয় উৎপাদনের ৫.১ শতাংশে রাখতে হয়েছে দেশের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে।
বাজেট ভাষণের পর সংবাদমাধ্যমে বালাগোপাল বলেছেন, ‘‘সরকারের লক্ষ্য এমন উন্নয়ন যেখানে কর্ম নিযুক্তি প্রাধান্য পায়। দেশে এবং বিশ্বে মন্দার আঁচ পড়ছে। তা সত্ত্বেও রাজ্যের চাহিদাকে চাঙ্গা রাখার প্রয়াস নেওয়া হয়েছে।’’
গ্রামোন্নয়ন খাতে বরাদ্দ ১৮৬২.৩২ কোটি টাকা, মৎস্য চাষে বরাদ্দ ২২৭.১২ কোটি টাকা, কৃষিক্ষেত্রে বরাদ্দ ১৬৯৮ কোটি টাকা। জীবিকার সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন ক্ষেত্রে বরাদ্দে এভাবেই জোর দেওয়া হয়েছে বাজেটে।
Comments :0