আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা বারবার বলছেন আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে পুরোদমে। সুপ্রিম কোর্টেও এই আশম্কা জানিয়েছেন তাঁরা। বুধবার একাধিক দাবিতে নবান্নে প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকও হচ্ছে তাঁদের। এদিনই সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে চালু হলো পুলিশ আউটপোস্ট। যেখানে মেডিক্যাল কলেজের মধ্যেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের হাতে আক্রান্ত হন ছাত্র, জুনিয়র ডাক্তাররা।
আরজি করের কাণ্ডের পর গোটা রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল গুলিতে কর্তব্যরত চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কর্তব্যরত চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিয়ে গত ১৭ সেপ্টেম্বর শুনানির সময় সুপ্রিম কোর্ট উস্মা প্রকাশ করেছিল। ঠিক তার পরেই আজ সাগর দত্ত মেডিকেল হাসপাতালে পুলিশের আউট পোস্ট চালু করলেন বারাকপুর পুলিশ কমিশনার অলোক রাজোরিয়া।
জুনিয়র ডাক্তার সহ ডাক্তার এবং স্বাস্থ্যকর্মী সহ রাজ্যের সাধারণ মানুষের আন্দোলনের চাপে রাজ্য সরকার মাথা নোয়াতে বাধ্য হল। জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি মেনে রাজ্যের সমস্ত হাসপাতালে সিকিউরিটি ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে তৎপর হয়ে উঠলো। জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের ফলশ্রুতি হিসেবে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারের তৎপরতায় সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বুধবার বিকেল পাঁচটায় বারাকপুর পুলিশ কমিশনার উদ্বোধন করলেন পূর্ণাঙ্গ পুলিশ আউট পোস্ট। আন্দোলনরত ছাত্র নার্স, এবং এমএসভিপি সকলেই এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাযন। তবে তাঁদের বক্তব্য, দেখার বিষয় এই পুলিশ আউট পোস্ট চালু হওয়ার পরে পুলিশের তৎপরতা কতটা বাড়ে।
প্রসঙ্গত, এই সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পিজিটি সহ জুনিয়ার চিকিৎসকদের সঙ্গে অধ্যক্ষের বৈঠক হওয়ার সময় জুনিয়ার চিকিৎসকদের উপর আক্রমণ হয়। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের মাথাদের সরাসরি দায়ী করেন আক্রান্ত ছাত্র, চিকিৎসক-ছাত্র। এমনকি অধ্যক্ষও ‘থ্রেট কালচার’-র বিপদ মানতে বাধ্য হন।
Comments :0