ELECTORAL BOND SBI

নির্বাচনী বন্ডের তথ্য চাপতে আসরে নামল স্টেট ব্যাঙ্ক

জাতীয়

নির্বাচনী বন্ডের তথ্য চেপে দেওয়ার কৌশল শুরু হয়ে গেল। স্টেট ব্যাঙ্ক সুপ্রিম কোর্টের তথ্য জানানোর সময়সীমা ভোটের পর পিছানোর অনুরোধ জানালো। আবেদন করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। 

সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে বাতিল হয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকারের সময়ে চালু অস্বচ্ছ নির্বাচনী বন্ড। স্টেট ব্যাঙ্ককে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, কার থেকে কোন দল কত টাকা পেয়েছে নির্বাচন কমিশনকে জানাতে হবে ৬ মার্চের মধ্যে। নির্বাচন কমিশন বিশদ তথ্য জনসমক্ষে পেশ করবে ১৩ মার্চের মধ্যে।

সময়সীমা ফুরানোর ঠিক মুখে মেয়াদ বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছে স্টেট ব্যাঙ্ক। জানা গিয়েছে ৩০ জুন পর্যন্ত সময় চেয়ে স্টেট ব্যাঙ্ক। গতবারের মতো ভোট হলে জুনের আগেই নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। 

নির্বাচনী বন্ডে লাভবান কেন্দ্রের সরকারে আসীন বিজেপি। একা বিজেপি’র পকেটে গিয়েছে ৫৭ শতাংশ অর্থ। আর এ রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস এক রাজ্যে সরকার চালিয়েও বড় সুবিধাভোগী এই ব্যবস্থা। ২০২২-এ তৃণমূলের দেওয়া হিসেব জানিয়েছিল এক বছরে ৫০০ কোটি টাকা এসেছে নির্বাচন বন্ড মারফত।

অতীতে বড় অনুদানের তথ্য নির্বাচন কমিশনকে জানাতে হতে সব রাজনৈতিক দলকে। কমিশনের থেকে জনতা জানতে পারত। নগদের অনুদান তুলে দিয়ে স্বচ্ছতা আনার নামে এই ব্যবস্থাই তুলে দেয় বিজেপি সরকার। ২০১৮’তে একাধিক আইন সংশোধন করে চালু করে এই ব্যবস্থা। লোকসভা এবং বিধানসভা ভোটের আগে স্টেট ব্যাঙ্কের মাধ্যমে চালু করা হয় বন্ড। দাতা বন্ড কিনে নেবে কোনও রাজনৈতিক দলের নামে। রাজনৈতিক দলটি বন্ড ভাঙিয়ে টাকা তুলে নেবে। কিন্তু কে কাকে কত টাকা দিল সেই তথ্য প্রকাশ্যে আনতে হবে না। 

স্টেট ব্যাঙ্কের বক্তব্য, বড় সংখ্যায় লেনদেনের তথ্য প্রকাশ করতে হবে তার জন্য সময় দরকার। এই যুক্তিতে প্রশ্ন রয়েছে। কারণ পুরো তথ্যই কম্পিউটার ব্যবস্থায় নথিভুক্ত থাকার কথা।

Comments :0

Login to leave a comment